ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং সহিংসতায় উসকানি দেয়— এমন কনটেন্টের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির (এনসিএসএ) পক্ষ থেকে মেটার কাছে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিটি মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট (পাবলিক পলিসি) সাইমন মিলনার, পরিচালক (পাবলিক পলিসি, আঞ্চলিক কার্যালয়) সারিম আজিজ এবং হেড অব হিউম্যান রাইটস পলিসি ফ্রেডেরিক রসকিকে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহিংসতা উসকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট বানচালের চেষ্টা চলছে।
এনসিএসএ জানিয়েছে, বাংলাদেশে মেটার কোনো স্থানীয় কার্যালয় না থাকায় জরুরি নিয়ন্ত্রক ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যোগাযোগ সাধারণত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এনসিএসএর মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ফেসবুকসহ অন্যান্য মেটার প্ল্যাটফর্ম সহিংসতা উসকানোর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর গণমাধ্যমে হামলার ঘটনা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু পক্ষ ফেসবুকে প্রকাশ্যে এই ঘটনার সমর্থন জানিয়ে সহিংসতা উসকিয়েছে, যার প্রভাব সরাসরি বাস্তব জীবনে দেখা গেছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে একাধিক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করার অনুরোধ করলেও মেটা সময়মতো সহযোগিতা করেনি। চিঠিতে মেটাকে আহ্বান জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ-সংক্রান্ত কন্টেন্টে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড কঠোরভাবে প্রয়োগ, বাংলা ভাষায় কনটেন্ট মডারেশন ও সেন্টিমেন্ট অ্যানালাইসিস জোরদার করা এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাড়তি নজরদারি বজায় রাখা।
এদিকে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শুক্রবার রাতে এক ফেসবুকে পোস্টে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাস ও সহিংসতার আহ্বান জানানো যেকোনো পোস্ট সরাসরি রিপোর্ট করা যাবে। জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি শনিবার থেকে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ (০১৩০৮৩৩২৫৯২) ও ই-মেইল ([email protected]) মারফত অভিযোগ গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ গুগল, মেটা ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মকে নিয়মিত কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করে। গুগলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের ২৭৯টি অনুরোধে ১ হাজার ২৩টি আইটেম ছিল। তবে ৬৫ শতাংশের বেশি কেসে যথেষ্ট তথ্য ছিল না।
ইউটিউব জানিয়েছে, একই সময়ে ৬ লাখ ২১ হাজার ৬৫৫টি ভিডিও সরানো হয়েছে। মেটার স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল।
নিউজ ডেস্ক : তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে; এদিকে আকাশ মেঘলা...
নিউজ ডেস্ক : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ঘিরে সার্বি...
নিউজ ডেস্ক : ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘট...
নিউজ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আল...
নিউজ ডেস্ক : জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে ঘোষিত তফশিল সংশোধন এ...

মন্তব্য (০)