• আন্তর্জাতিক

‘যেন দোজখ থেকে বেহেশতে এলাম’

  • আন্তর্জাতিক

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজায় ‘প্রথম দফা’ যুদ্ধবিরতির বন্দিবিনিময় শেষে ঘরে ফিরেছে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিরা। দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন স্বজনরা। ছাড়া পেয়ে ইসরাইলি কারাগারে ঘটে যাওয়া নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেন। কি অবর্ণনীয় অত্যাচার-অপমান ও দুর্ব্যবহার সহ্য করেছে তারা! এমনই এক ভুক্তভোগী ইয়াসের আবু তুর্কি। সোমবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি জানান, ‘এটা যেন দোজখ থেকে বেহেশতে আসার মতো। এটা এমন একটি মিশ্র অনুভূতি যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। ব্যথা, আনন্দ এবং অদ্ভুত সব অনুভূতি যেন একসঙ্গে কাজ করছে।’ আল-জাজিরা।

কসাইখানায় ছিলাম কারাগারে নয়

মুক্তি পাওয়া খান ইউনিসের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আবু রাফে কারাগারে তার দিনগুলোকে ‘মর্মান্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেন, ‘আমরা একটি কসাইখানায় ছিলাম, কারাগারে নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা ওফের কারাগার নামে একটি কসাইখানায় ছিলাম। অনেক যুবক এখনো সেখানে আছে। ইসরাইলি কারাগারের পরিস্থিতি খুবই কঠিন। কোনো গদি নেই। তারা সর্বদা গদিগুলো সরিয়ে নেয়। খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। সেখানে জীবন জঘন্য’। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের একজনের বোন হিদায়া দার আহমেদ বলেন, ‘বন্দিরা এই দুই বছর ধরে কোনো চিকিৎসা পাননি, কিছুই পাননি...এটি ইসরাইলি কারা প্রশাসনের ইচ্ছাকৃত অবহেলা।’

আমাকে মারধর অপমান করা হয়েছে

ইসরাইলি কারাগারে ১৯ মাসেরও বেশি সময় বিনা অভিযোগেই বন্দি ছিলেন মোহাম্মদ আল-খালিলি। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমাদের মারধর করা হয়েছে এবং অপমান করা হয়েছে। আমরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, এখন সবকিছু শেষ’। মোহাম্মদ আল-খালিলি বলেন।

ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঢুকেছি, ক্ষুধার্তই থেকেছি

কারাগারে বছরের পর বছর যন্ত্রণা সহ্য করেছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শাদি আবু সাইদ। পেট ভরে খেতে পায়নি কখনো। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘দুই বছর ধরেই আমি ক্ষুধার্ত অবস্থায় ছিলাম। ক্ষুধার্ত অবস্থায় কারাগারে প্রবেশ করেছি এবং ক্ষুধার্তই থেকে গেছি। তারা আমাদের সন্তানদের হত্যার হুমকি দিয়েছে।’ এমনকি বন্দিদের কীভাবে মারধর, অপমান এবং খাবার, ঘুম এবং চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল তাও বর্ণনা করেছেন তিনি।

২৫ বছর পর এক হলো ভাইবোন

পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ২৫ বছর পর এক হয়েছে ভাইবোন। ৫০ বছর বয়সি ইবতিসাম কামেল এমরি দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে তার ভাইয়ের অপেক্ষায় ছিলেন। মৃদ্যু কণ্ঠস্বরে ইবতিসাম বলেন, ‘যখন তারা (ইসরাইল) নিয়ে গিয়েছিল তখন সে কেবল একটি বালক ছিল। সে আমার ভাই, আমার ছেলে, আমার হৃদয়। এই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করতে আমরা কতটা কষ্ট পেয়েছি তা একমাত্র সৃষ্টিকর্র্তাই জানেন।’ ইবতিসাম জানান, তাদের বাবা-মা মারা গেছেন, তার সন্তানরা বড় হয়েছে কিন্তু কখনো তার ভাইয়ের আশা ছাড়েননি।

 

মন্তব্য (০)





image

ফের বিক্ষোভে উত্তাল লাতিন আমেরিকার দেশ

নিউজ ডেস্ক : ‘জেন-জি’দের ডাকে আবা...

image

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগ মাদুরোর

নিউজ ডেস্ক : ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, মাদক...

image

হিন্দি নিষিদ্ধে বিল আনছে তামিলনাড়ু সরকার

নিউজ ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর সরকার রাজ্যে হিন্দি ভাষা নি...

image

সীমান্তে আফগান তালেবানের সঙ্গে আবার সংঘর্ষে জড়াল পাকিস্তান

নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তান সেনাবাহিনী চামান সীমান্তের স্পিন বোলদাক এলাকায় আফ...

image

পাকিস্তানি বাহিনীর ট্যাঙ্ক জব্দ করে চালিয়ে নিয়ে গেল তালেবান!

নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তানের সাথে সবশেষ সংঘর্ষের পর, তালেবান সদস্...

  • company_logo