• শিক্ষা

ইবির সামনের মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

  • শিক্ষা
  • ০১ মার্চ, ২০২১ ১৭:৩১:০৩

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক গতিরোধক ছাড়া যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তার দু-পাশের গতিরোধক ক্ষয় হতে হতে বিলুপ্তের পথে, তবুও নেই কোনো সতর্কীকরণ গতিসীমার প্রতীক চিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সামনে কোনোরকম গতিরোধক না থাকায় প্রতিনিয়ত বড় ধরণের দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল হওয়ায় এখান দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবেই রাস্তা পারাপার হতে হয়। তাছাড়া কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক হওয়ায় ভারী যানবাহনের চলাচল বেশি। যে কোনো সময় এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বে ইবির মূল ফটকের সামনের রাস্তার উভয় অংশের গতিরোধক ঠিক করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রধান ফটকের মহাসড়কে দুই পাশে দুইটি গতিরোধক থাকলেও বর্তমানে সেটির বেহাল দশা। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে সর্বোচ্চ গতিসীমা ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার থাকার কথা সেখানে ওভারটেকের হিড়িক পড়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এই মহাসড়কে। গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। কাজেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত রাস্তা পার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গতিরোধকের এই বেহাল দশা সত্যিই হতাশাজনক! তার ওপর দুই পাশে নেই কোনো সতর্কীকরণ গতিসীমার সাইনবোর্ড। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পাড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হয় বলেও জানান তারা।

স্বপ্ন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বেপরোয়া যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে ভগ্নদশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জীবনের মূল্য যদি প্রশাসন না বুঝে, তবে বাস-ট্রাকের ড্রাইভারেরা কি বুঝবে! দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন পূর্বের ন্যায় গতিরোধক ঠিক করে পরিবহনগুলোর বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন দৈনিক অধিকারকে বলেন, এই বিষয়ে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রকৌশল অফিসকে আমি বিষয়টি অবহিত করে অতি দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo