• সমগ্র বাংলা

নাব্য সংকটে আটকা পড়ছে জাহাজ, বিপদে ব্যবসায়ীরা

  • সমগ্র বাংলা
  • ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১৪:১৯:২৭

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি কমতে থাকায় চরম নাব্য সংকটে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌবন্দর। এতে বন্দরে ভিড়তে পারছে না পণ্যবাহী বড় জাহাজ। ফলে ছোট ছোট জাহাজে করে পণ্য আনতে বাধ্য হওয়ায় ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ী, ঘাট ইজারাদার ও বন্দরের শ্রমিকরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন। 

উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ নদী বন্দর সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দর। প্রতিদিন চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলাসহ দেশের বিভিন্ন নৌবন্দর থেকে সার, কয়লা, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী নিয়ে জাহাজ আসে এই বন্দরে। তবে শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই নদীতে দ্রুত পানি কমতে থাকায় দেখা দিয়েছে চরম নাব্য সংকট।

স্বাভাবিকভাবে নদীতে বড় জাহাজ চলাচলে ১০ থেকে ১২ ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন হলেও এখন পানি আছে মাত্র ৫ থেকে ৭ ফুট। ফলে গত এক মাস ধরে বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে ভিড়তে পারছে না বড় বড় জাহাজ। দৌলদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আটকে যাচ্ছে বড় জাহাজগুলো। ফলে বাধ্য হয়ে ছোট ছোট লাইটার জাহাজ ও কার্গোতে করে পণ্য বন্দরে আনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।

শ্রমিকরা জানান, বড় জাহাজ ভিড়তে না পারায় কাজও কমে গেছে।

বন্দরে বড় জাহাজ ভিড়তে না পারায় দূর থেকে ছোট ছোট লাইটার জাহাজে করে পণ্য আনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানালেন বন্দর ইজারাদার প্রতিনিধি আব্দুল মজিদ মোল্লা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের নাব্য সংকট কেটে যাবে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা।

উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার সার, কায়লা, সিমেন্ট, চালগমসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা হয় এই বন্দর দিয়ে। এ ছাড়া ৩টি জ্বালানি তেলের ডিপো রয়েছে এই বন্দরে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo