• বিশেষ প্রতিবেদন

শিকল বন্দি জীবন থেকে মুক্ত হলো পাপড়ি ও অনন্যা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৪ জানুয়ারী, ২০২১ ১২:৩৯:২১

ছবিঃ সিএনআই

জামালপুর প্রতিনিধিঃ  দুই বোন শিকলে বন্দি জীবন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার কয়েকদিন পরেই সংবাদটি জামালপুরের জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। দেড় যুগ পরে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পাপড়ি ও অনন্যাকে শিকল মুক্ত করলেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। ছোট্ট একটি ঘরে প্রায় দেড় যুগ ধরে শিকলে বেঁধে রাখা হতো দুই বোন পাপড়ি ও অনন্যাকে। কারণ তাঁরা মানসিক ভারসাম্যহীন আর প্রতিবেশীদের জন্য নাকি যন্ত্রণাদায়ক। তাঁদের যতœ নেওয়ার কেউ নেই। পারে না ঠিকমতো খাবার। ফলে অসহায় দুই বোন ভুগছেন পুষ্টিহীনতায়। পারিবারের আকুতি চিকিৎসা আর নিয়মিত খাবার পেলে তাঁরা
সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন। তাদের পাশে দাড়িছেন জেলা প্রশাসক।

রবিবার (০৩ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের দুই বোনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। জেলা প্রশাসক ও জামালপুর
সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় তাদের দুই বোনকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাপড়ি (২৬) ও অনন্যার (২২) বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের আদারভিটা গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের মেয়ে পাপড়ি ও অনন্যা। মা-বাবা মারা গেছেন অনেক আগে। ছোট ভাই স¤্রাট (২৫) দেখাশোনা করেন তাঁদের। আরেক ভাই মুশফিকুর রহমান (১৭) একাদশ শ্রেনিতে লেখাপড়া করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জামালপুর সমাজ সেবা অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক রাজু আহম্মেদ, মাদারগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল মনসুর, মাদারগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ওলিউল্লাহ ভ’ইয়া এছাড়াও এলাকার জন প্রতিনিধি ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, আমরা এ আগে আবগত ছিলাম না। এর আগে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় আমি ও সমাজ সেবা অফিসার এসেছিলাম। আমরা তখন তাদের দূদর্শাটা দেখতে পেয়ে তখন আমরা আর্থিক সহযোগিতা করেছি। এখন আমরা চাই তার একটা স্থায়ী সমাধান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, পাপড়ি ও অনন্যার শিকল বন্দি জীবন এই সংবাদটি ভাইরাল হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি তাৎক্ষনিক মাদারগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য ওদের বাড়িতে পাঠায়। আমরা আজকে তাদের দুই বোনকে শিকল বন্দি থেকে মুক্ত করছি। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তাদের দুই বোনের পাশে দাড়াতে পেরে নিজের কাছে খুব আনন্দ লাগছে। আশা করি তারা দুইজনই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo