• বিশেষ প্রতিবেদন

যা থাকছে কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০১ জানুয়ারী, ২০২১ ২২:১৬:৫৩

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ কেরানীগঞ্জে দেশের দ্বিতীয় মহিলা কারাগারটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত নারী বন্দির সংখ্যা বিবেচনায় এবং ঢাকাসহ সারাদেশের নারী বন্দিদের সুবিধার জন্য বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে।

কারা সূত্র জানায়, কারাগারটি উদ্বোধন করা হলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে আপাতত বন্দি রাখা হবে না। দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ কারাগারে কোনো বন্দি না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন মহিলা কারাগারে মোট ৯টি ভবন রয়েছে। একটি ভবনের নাম বেগম রোকেয়া বন্দি ব্যারাক, যা কারাগারের প্রধান ভবন। এতেই সবচেয়ে বেশি বন্দি রাখা হবে। ৪ তলার এ ভবনে মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে।

কারাসূত্র আরও জানায়, আরেকটি ভবন হচ্ছে ইলা মিত্র সেন ভবন। নতুন কারাগারটিতে ১২ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত (প্রথম শ্রেণির বন্দি) রাখা হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে সুলতানা রাজিয়া ভবন। যেখানে ৪টি সেলে সর্বোচ্চ ৩ জন করে নারী বন্দি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। ডা. কাদম্বিনী মেডিকেল ভবন বা কারা হাসপাতাল, কারাবন্দিদের চিকিৎসার জন্য ৩ তলাবিশিষ্ট এ হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রীতিলতা কিশোরী ভবনে কিশোর অপরাধ করে কারাগারে যাওয়া কিশোরীদের রাখা হবে।

জঙ্গি, শীর্ষ সন্ত্রাসী, আলোচিত মামলার আসামি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সব নারী বন্দি আটক রাখার জন্য দেশে এই প্রথমবারের মতো কারাগারের ভেতরেই পৃথকভাবে হাইসিকিউরিটি সম্পন্ন সেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিশেষ সেলে মোট ৩০ জন বন্দিকে আটক রাখা হবে। এ ছাড়া ফাঁসির সেল ও সাধারণ বন্দিদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে।

মানসিকভাবে অসুস্থ নারী বন্দিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে মেন্টাল ওয়ার্ড। এ ছাড়াও রয়েছে পাঠাগার ও নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য গার্ড হাউস।

নতুন মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মমিনুর রহমান মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে গাজীপুর মহিলা কারাগারে সাড়ে ৮০০ বন্দি রয়েছে। নবনির্মিত কেরানীগঞ্জ মহিলা কারাগারের একটি ভবনে করোনা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জন্য নতুন মহিলা কারাগারে বন্দিদের রাখা শুরু করতে কিছুটা সময় লাগবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo