• কূটনৈতিক সংবাদ

পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে যা বললেন ভারতের দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত

  • কূটনৈতিক সংবাদ
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:০০:৪৯

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক: উপলক্ষটা ছিল বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন। দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সেই উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ে বাংলাদেশ যে ভারত ছাড়া এ অঞ্চলের আর সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে— সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। একইসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের রিজার্ভের তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘তারা কোথায় পড়ে আছে, আর আমরা কোথায় এগিয়ে গেছি!’

গত সপ্তাহেই বাংলাদেশের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বা বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাপিয়ে গেছে। আর সেই জায়গায় পাকিস্তানের ফোরেক্স রিজার্ভের পরিমাণ এই মুহূর্তে মেরেকেটে ১৩ বিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি। পাকিস্তানের অর্থনীতি যে প্রবল সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সে কথাও আন্তর্জাতিক মহলে সুবিদিত।

বিজয় দিবসে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জনের বিবরণ দিতে গিয়েই এ প্রসঙ্গের অবতারণা করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। তবে তিনিএকবারের জন্যও পাকিস্তানের নাম করেননি।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ঘরোয়া এক অনুষ্ঠানে নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘আজ ভাবতেও গর্ব হয় আমরা একদিন যে দেশের অংশ ছিলাম, যে দেশের বিরুদ্ধে আমরা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছি তাদের তুলনায় আজ আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি। তারা কোথায় পড়ে আছে আর আমরা কোথায় এগিয়ে গেছি!’

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারেও সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই যে এই মুহূর্তে ‘সেরা পারফর্মার’, রাষ্ট্রদূতের ভাষণে সেই প্রসঙ্গেরও উল্লেখ ছিল।

মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘এটা আমরা এখন বলতেই পারি যে আশপাশের সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার এখন সবচেয়ে বেশি। এই কোভিড মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে অর্থনীতি পরিচালনা করছেন, আন্তর্জাতিক মহলেও তার ভূয়সী প্রশংসা হচ্ছে।’

বস্তুত, ২০২০-২১ অর্থবছরেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার শুধু পাকিস্তান নয়, ভারত-শ্রীলঙ্কা-নেপালসহ এ অঞ্চলের সব দেশকেই ছাপিয়ে যাচ্ছে।

আইএমএফের সাম্প্রতিক এক পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, ‘পার ক্যাপিটা জিডিপি’ বা মাথাপিছু প্রবৃদ্ধিতেও অচিরেই ভারতকেও টপকে যাবে বাংলাদেশ। আর পাকিস্তান তো (বাংলাদেশের সঙ্গে) কোনও তুলনাতেই আসবে না।

এই পটভূমিতেই পাকিস্তানকে খোঁচা দেওয়ার মোক্ষম সুযোগটা ছাড়তে চাননি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। বিশেষ করে গত দশ-বারো বছরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যাত্রায় বাংলাদেশ যে পাকিস্তানকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে, দিল্লিতে একঝাঁক সাংবাদিকের সামনে সেদিন সে কথাই তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।

ওদিকে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে পাকিস্তানের ইমরান খান সরকারকে এখন প্রায় নিয়মিতই আইএমএফ বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে হাত পাততে হচ্ছে। গত এপ্রিল মাসেও আইএমএফ পাকিস্তানকে ১৪০ কোটি ডলারের জরুরি ঋণ দিয়ে সাহায্য করেছে, যাতে তারা কোভিড মহামারি মোকাবিলা করতে পারে।

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারার কারণে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সও পাকিস্তানকে গত আড়াই বছর ধরে ধূসর তালিকায় (‘গ্রে লিস্ট’) রেখেছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo