• শিশু সংবাদ

কটিয়াদীতে অনলাইন গেমে আসক্তি বাড়ছে, স্বাস্থ্য ঝুকিতে শিশু-কিশোররা

  • শিশু সংবাদ
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:৪৪:৩০

ছবিঃ সংগৃহীত

কটিয়াদী প্রতিনিধিঃ এক সময়ে তরুনরা অবসর কাটাত বই পড়ে,মাঠে খেলে,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে,সাংস্কৃতির চর্চাও মধ্য দিয়ে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতার এই সময়ে এর জায়গা দখল করে নিয়েছে আননোউনস ব্যাটল গ্রাউন্ডসহ(পাবিস)বিভিন্ন অনলাইন ভিডিও গেমস।এসব গেমের প্রতি আসক্ত তরুনদের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে।কটিয়াদী উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে গেম আসক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেশ চিন্তিত রয়েছে প্রতিটি পরিবারে অভিভাবকরা।মাদকাক্তির মতো অনলাইন গেমে আসক্ত তরুনদের মারাত্বক স্বাস্থ্যঝুকি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

উপজেলার গ্রামগুলোতে কয়েক জন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে ঘওে বাইরে,মাঠের কোনে,রাস্তার মোড়ে মোড়ে এমন কি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও কাজ ফাকি দিয়ে অনলাইন গেমে মত্ত উঠতি বয়সের তরুনরা।হাতে থাকা স্মাট ফোনের স্কিনে দুষ্টি রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা খেলে যাচ্চে অনলাইন গেম।একটি স্মাট ফোন,ইন্টারনেট সংযোগ আর ডাটা প্যাক হলেই খেলা যায় এ গেম।গেমাসক্ত তরুনরা প্রয়োজনী ডাটা প্যাক কিনতে চুরি,ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

চরনোয়াকান্দি গ্রামের একজন অভিভাবক জানান,পড়াশুনা বাদ দিয়ে রাতে জেগে গেম খেলে দুপুর ১২টায় ঘুম থেকে উঠে।অন্য কোন কাজে মন নেই,মেজাজ খিটখেটে হয়ে পড়ছে।তাকে নিয়ে আর পারছি না। আচমিতা ইউনিয়নের গাংকুলপাড়ার এক অভিভাবক জানান,আমি ক্ষেতখামারে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালায়।যখন ছেলে কোনকিছু খাওয়ার কথা বলে টাকা চাই তখন ছেলের মন রক্ষার্থে দেই।কিন্তু সেই টাকা দিয়ে মোবাইলে গেম কিনে খেলে।এভাবে প্রতিদিন টাকা চাই না দিলে মেজাজ গরম দেখাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাইদুর রহমান বলেন, ক্রমাগত অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তির কারনে অন্য কাজের প্রতি মনযোগ কমে যায়,ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে,স্মাট ফোনের স্কিনের আলোতে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাছাড়াও এটি মনের মধ্যে নৈতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে
বিভিন্ন ভাব তৈরি করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ আকতারুন নেছা বলেন,অনলাইন গেমে আসক্ত এসব তরুনদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারিবারিক অনুশাসন ও তরুনদের প্রতি খোজখবর রাখা এবং কাউন্সিলিংয়ের বিকল্প নেই।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo