• আন্তর্জাতিক

কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সশস্ত্র হামলায় ২০ জনের বেশি নিহত

  • আন্তর্জাতিক
  • ০১ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২০:১১

ছবিঃ সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামে সশস্ত্র হামলায় ২০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই হামলার জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী অ্যালাইড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসকে (এডিএফ) দায়ী করেছে। খবর আল জাজিরার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে শনিবার নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, হামলাকারীরা প্রথমে ‘কঙ্গোলিজ’ নামে আরেকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালায়। এরপর তারা লিসাসা গ্রামের সাধারণ মানুষের ওপর হামলে পড়ে।

তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ২১ বলে জানিয়েছেন নর্থ কিভু অঙ্গরাজ্যের বেনি এলাকার স্থানীয় প্রশাসক ডোনাট কিবওয়ানা। এছাড়া লিসাসা গ্রাম যে এলাকায় অবস্থিত সেই বুলিকির প্রধানও এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় একটি এনজিওর পক্ষ থেকেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া, আরও অনেক গ্রামবাসীকে অপহরণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ওই তিনটি সূত্র। পাশাপাশি, একটি চিকিৎসাকেন্দ্রেও ভাঙচুর, স্থানীয়দের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং একটি ক্যাথলিক চার্চ তছনছ করেছে হামলাকারীরা।

স্থানীয় নেতা কালুঙ্গা মেসো টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানান, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাত ৮টা থেকে মাঝরাতের মধ্যে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র লোকজন আক্রমণ চালিয়েছে। তারা নির্বিচারে আমাদের ভাইদের মেরেছে।’

প্রসঙ্গত, ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ১৯৯০ সালে পশ্চিম উগান্ডায় উদ্ভব ঘটে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এডিএফ-এর। এটি কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে উপদ্রব সৃষ্টিকারী অন্যতম সশস্ত্র গোষ্ঠী।

প্রায় ৬ বছর ধরে এডিএফ বিভিন্ন গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যা ও অপহরণের মতো অপরাধ করে আসছে। এসব হামলায় কখনোই তারা দায় স্বীকার না করলেও অনেক ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) দায় স্বীকার করতে দেখা গেছে। তবে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এই দুটি সংগঠনের মধ্যে সরাসরি কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাননি।

বছরখানেক আগে এডিএফ-এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে নামে কঙ্গোর সেনাবাহিনী। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঘাঁটি ছেড়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পড়তে বাধ্য হয় তারা। ফলে গ্রামগুলোতে তাদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়।

চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বেনি এলাকার একটি কারাগারে সশস্ত্র হামলার পর কয়েকশ বন্দি পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য পুলিশ এডিএফ-কে দায়ী করলেও শেষ পর্যন্ত আইএস এর দায় স্বীকার করে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতেও এডিএফ-এর হামলায় কঙ্গোর প্রত্যন্ত গ্রাম বায়েতির ১৯ জন অধিবাসী মারা যায়। ধ্বংস করা হয় গ্রামটির চার্চ এবং ৪০টি বাড়িঘর। এ হামলারও দায় স্বীকার করে আইএস।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo