• শিক্ষা

দুর্নীতির অভিযোগ মগবাজার গার্লসের সাবেক প্রধানের বিরুদ্ধে

  • শিক্ষা
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:০২:২৩

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর মগবাজার গার্লস হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) খুরশিদা খানমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে। স্কুলের গভর্নিং বোর্ডের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতর ও সংস্থায় এ অভিযোগ দেন।

এ-সংক্রান্ত অভিযোগে বলা হয়েছে, নিয়ম-বহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে বসেন খুরশিদা খানম। সম্প্রতি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এস এম সাইফুজ্জামান বাদশার স্বাক্ষরে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড থেকে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৪ টাকা এবং যমুনা ব্যাংক লিমিটেড থেকে ৮৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। খুরশিদা খানম তার চাকরির মেয়াদ চলতি বছরের এপ্রিলের ১৪ তারিখেই উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস এম সাইফুজ্জামান বাদশার সঙ্গে মিলে চলতি বছরের মে মাসের ২০ তারিখে যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের মিরপুর শাখায় এক পত্রের মাধ্যমে মগবাজার গার্লস হাইস্কুলের এফডিআরের ছয় বছর মেয়াদি দ্বিগুণ প্রকল্পের দুই কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে যমুনা ব্যাংক লিমিটেড (মহিলা শাখা) নিউ বেইলি রোড শাখায় স্থানান্তরের আবেদন করেন।

খুরশীদ খনমকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হলেও জোর করে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে- এমন মিথ্যা অভিযোগ দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এরপর তৎকালীন ঢাকা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রীতিশ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ২০১৮ সালে ১২ জুন একটি আদেশ এনে কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে জোর করে অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করেন। এ-সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, খুরশিদা খানম অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিনা হোসেনকে চাকরিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবৈধ ও বেআইনিভাবে অ্যাডহক কমিটির মিটিং আহ্বান করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০০৯ অমান্য করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করে এস এম সাইফুজ্জামান বাদশার নাম প্রস্তাব করে তা অনুমোদন করোনো হয়। বর্তমানে সাবেক এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চাকরির বসয়সীমা পার হলেও তিনি এখনো শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে বহাল রয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে খুরশিদা খানম বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির দু-একজন নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।’

অর্থ উত্তোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান চালাতে অর্থের প্রয়োজন হয় বলে অর্থ তুলতে হয়েছে। অধ্যক্ষ একা কোনো অর্থ তুলতে পারেন না, কমিটির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়ে সকল অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে।’

খুরশিদা খানম আরও বলেন, নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগে হয়েছে, কোনো ধরনের অনিয়ম করা হয়নি। এছাড়া বর্তমানে কমিটির ইচ্ছায় তাকে গণিতের শিক্ষক হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মনসুর ভুঞা বলেন, ‘মগবাজার গার্লস হাইস্কুলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অর্থ অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বেশকিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করতে ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo