• স্বাস্থ্য

টেস্টের বাণিজ্য, বন্ধ হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান

  • স্বাস্থ্য
  • ১৯ আগস্ট, ২০২০ ১৭:৪৬:৪০

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ করোনাকালে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ‘টেস্ট বাণিজ্য’ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে যে আয় হচ্ছে তা দিয়ে স্টাফের বেতন পরিশোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ঢাকায় কিছু প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে বন্ধের পথে ৬০ ভাগ সেন্টার।

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পর থেকেই প্রাইভেট চেম্বারে বসছেন না অধিকাংশ চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অনলাইনে রোগী দেখছেন। জরুরি প্রয়োজন না হলে তারা রোগীদের টেস্ট লিখছেন না। আবার করোনা মহামারীতে লোকজন আর্থিক সংকটেও পড়েছে। এসব কারণে মূলত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে টেস্টের সংখ্যা কমে যাওয়ায় আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বন্ধ হয়ে গেছে মোহাম্মদপুর হুমায়ূন রোডে হেলাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ আরও কয়েকটি কেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বেতনও পাননি। একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী আবু হানিফ বলেন, মার্চের মাঝামাঝি থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে রোগী আসা কমতে শুরু করে। এ পরিস্থিতিতে এপ্রিল মাসে সেন্টারটি বন্ধ হয়ে যায়।

সারা দেশে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ২৫টি শাখা আছে। এর মধ্যে রাজধানীতেই ৯টি। পপুলারের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্য কুমার নাগ বলেন, আগে আমাদের প্রধান শাখায় দিনে গড়ে এক-দেড় হাজার টেস্ট হতো। এখন টেস্টের সংখ্যা দেড় থেকে দু’শতে নেমে এসেছে। রোগীদের প্রয়োজনে সব সেবাই চালু রেখেছি আমরা। এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে আমরা প্রতিষ্ঠানের সব কর্মীর বেতন ঠিক সময়ে দিয়েছি।

রাজধানীর আরেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মেডিনোভায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনার কারণে এখানেও টেস্টের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার টেস্ট হলেও এখন প্রায় নেই বললেই চলে। একই অবস্থা পান্থপথের কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে বর্তমানে ১৭ হাজার ২৪৪টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। চিকিৎসক, নার্সসহ এসব প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক মানুষ কর্মরত। করোনা পরিস্থিতিতে রোগীশূন্য থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।

বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিসিডিওএ) বলছে, রোগী ও টেস্টশূন্য হয়ে পড়ায় ঢাকার বাইরে ৬০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে। ঢাকায়ও বেশকিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ছোট ছোট কয়েকটি হাসপাতাল সেবা দেয়া বন্ধ রেখেছে। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ১০ হাজারের বেশি। আর্থিক সংকটে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটা বড় অংশ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। আয় না থাকায় ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের পকেট থেকে কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচাতে সরকারের প্রণোদনা প্রয়োজন। আমরা প্রণোদনা চেয়েছি সরকারের কাছে। কিন্তু কোনো আশ্বাস পাচ্ছি না।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo