• অর্থনীতি

করোনার প্রভাবে নতুন ব্যবসা!

  • অর্থনীতি
  • ৩১ মার্চ, ২০২০ ১৫:৫৬:৪৫

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ  সারা বিশ্বে চলমান শীর্ষ সমস্যা করোনা। বর্তমানে এ করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। বিশ্বের প্রায় সবদেশেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এই তালিকায় আছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক এই সমস্যার সমাধানের জন্য অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও কার্যক্রর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সাধারণ ছুটিসহ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি স্বশস্ত্র বাহিনীও মাঠে নেমেছে। সেই সাথে সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বের হতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। আর এমন পরিস্থিতিতে সারা দেশে শীতবস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা গোবিন্দগঞ্জের কোচাশহরের ক্ষুদ্র শিল্পমালিকরা উৎপাদন শুরু করেছেন মাস্কের। তাদের উৎপাদিত মাস্কের ব্যবসা ইতোমধ্যে কোটি কোটি টাকায় পৌঁছেছে। কোচাশহর ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন উৎপাদিত হচ্ছে মাস্ক। মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে গোবিন্দগঞ্জের উৎপাদিত মাস্ক। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়ন ও তৎসংলগ্ন এলাকা বহু পূর্ব থেকে হোসিয়ারী শিল্পের জন্য দেশ খ্যাত। এই এলাকায় হোসিয়ারী পন্যের সাথে বিচ্ছিন্ন ভাবে সারা বছরই মাস্ক তৈরি করা হতো। এর সাথে পৌর শহরের বেশ কয়েকটি মোজা তৈরির কারখানায় উৎপাদিত হত মাস্ক। সমস্ত হোসিয়ারী পাইকারি দোকানে অনেক আগে থেকেই মাস্ক পাইকারি বিক্রি করা হত। কিন্তু দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এই বেচাকেনা বাড়তে থাকে হু হু করে। দিন রাত সমান তালে চলতে থাকে মাস্ক উৎপাদন। সারাদেশ থেকে ছুটে আসতে থাকে পাইকারি ক্রেতা। ২৬ মার্চ গণপরিবহন বন্ধ হওয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে উপজেলায় উৎপাদিত মাস্ক সারাদেশে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জে বিভিন্ন ধরণের মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে উৎপাদিত অধিকাংশ মাস্ক সিঙ্গেল জার্সির কাপড়ের ও নন ওভেন টিস্যু ব্যাগের কাপড়ের তৈরি করা। বাজারের চাহিদা ভেদে উৎপাদিত মাস্ক ১০০, ১৫০ ও ২০০ টাকা ডজন দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। কার্যকর জীবানু প্রতিরোধী না হলেও প্রচুর বিক্রি হচ্ছে এই মাস্ক। হাল সময়ে চাহিদার প্রেক্ষিতে তৈরি হচ্ছে হাতের হ্যান্ড গ্লাভস। গোবিন্দগঞ্জের টিস্যু ব্যাগ ব্যবসায়ী এহসানুল হক তুষার জানায়, মাস্ক উৎপাদনের জন্য টিস্যু ব্যাগের চাহিদা আকাশচুম্বী। তারা সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। তিনি আরো জানান, একটি সাধারণ সাইজের টিস্যু ব্যাগ দিয়ে ছয়টি মাস্ক তৈরি করা যায়। বর্তমানে তারা সহ উপজেলা ও পাশ্ববর্তী এলাকার টিস্যু ব্যাগ ব্যবসায়ীরা ব্যাগের চাহিদার তুলনায় টিস্যু ব্যাগ সরবারহ দিতেই পারছে না। গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের হোসিয়ারী ব্যবসায়ী শোভন হোসেন জানান, তিনি বহুদিন থেকেই মাস্ক উৎপাদন করেন। কিন্তু বর্তমানে করোনা আতংকে মাস্ক ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারিগর না থাকায় তাদের জোগান দিতেও অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ঠিক মত কারিগর পাওয়া গেলে এ সময়ে উপজেলায় উৎপাদিত মাস্ক দিয়ে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যবসা করা যেত।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo