• সমগ্র বাংলা

বিরামপুরে উপসর্গ নিয়ে নিহত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন না

  • সমগ্র বাংলা
  • ০২ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:৪৬:৩২

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর বিরামপুরের সর্দি-জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ফরহাদ হোসেন (৪২) নিহত ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস ছিল না বলে জানিয়েছেন দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস। সরকারের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে নমুনা পরীক্ষার পর এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দিনাজপুরে কোন ধরনের করোনার সংক্রামন ব্যক্তি নেই। পরীক্ষার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিরামপুরের ওই এলাকার ৮৪টি পরিবারকে হোম কোয়ারিন্টিনের নির্দেশনা তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান। গত সোমবার ভোররাতে বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের তপসী গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৪২) মারা যান। জ্বর-সর্দি ও করোনার উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যু হওয়ার পর ওই এলাকার প্রায় ৮৪টি পরিবারকে হোম কোয়ারিন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। ওই দিন দুপুরে নিহতের জানাযা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়। জানা যায়, ফরহাদ হোসেন কুমিল্লার লাকসামের বিজোড়া গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে কৃষি জমি দেখাশোনা করতেন ও কাজ করতেন। কিছুদিন আগে সৌদি প্রবাসী বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখানে কাজ করার সময়ই ফরহাদ হোসেনের সর্দি-জ্বর দেখা দেয়। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়েও জ্বর না সারায় গত ২২ মার্চ তিনি নিজ বাড়িতে ফেরেন। এরপর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ সেবন করলেও তার জ্বর-সর্দি সারেনি। রোববার থেকে দেখা দেয় শ্বাসকষ্টও। সোমবার ভোর রাতে ফরহাদ হোসেন নিজ বাড়িতেই মারা যায়। এই ঘটনার পর সোমবার বিকেলেই নিহতের শরীরে করোনা ভাইরাস ছিল কি না এজন্য বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর। পরে নিহতের পরিবারের আশেপাশের ৮৪টি পরিবারকে কোয়ারিন্টিনে রাখার নির্দেশনা দেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান। একইসাথে এ যাবত সে এলাকার কারও সাথে মিশেছে কি না এসব তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo