• অর্থনীতি

চাল, ডাল, তেল ও চিনির দাম চড়া, স্বস্তি পেঁয়াজে

  • অর্থনীতি
  • ০৩ এপ্রিল, ২০২০ ১০:৫০:১৬

দেশের প্রত্যেকটি পরিবার বা সংসারে জরুরি পণ্যর তালিকায় রয়েছে চাল, ডাল, তেল ও চিনি। কিন্তু এসব পণ্য এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে চরম বিপাকে রয়েছে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ। ডিম, মুরগি, আলু ও সবজির তেমন কোনো চাহিদা নেই। কমছে না শুধু চাল, ডাল, তেল ও চিনির দাম। উপরোক্ত পণ্যগুলো দাম বৃদ্ধি পেলেও স্বস্তি রয়েছে পেঁয়াজে। রসুনের দামও পড়তি। বাজার পড়তির দিকে। ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মোটা চাল। মাঝারি বিভিন্ন চাল পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। আর সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকায়। গত নভেম্বর থেকে দফায় দফায় চালের দাম বেড়েছে। নভেম্বরে মোটা চাল ৩২ টাকা, মাঝারি চাল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও সরু চাল ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। পুরান ঢাকার বাবুবাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বোরো মৌসুমের নতুন চাল আসার আগে দাম কমার আশা কম। নতুন চাল আসবে আগামী মাসের শেষ দিকে। পেঁয়াজ, রসুন, ডিম, মুরগি, সবজির দাম কমেছে। রোববার থেকে খোলাবাজারে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু। বাজারে মোটা মসুর ডালের প্রতি কেজি দাম উঠেছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, দুই মাস আগে তা ছিল ৬০ টাকার মধ্যে। মাঝারি দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, এটা ছিল ৭০ টাকার মধ্যে। আর সরু দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে ছিল, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজারদরের তালিকা তুলনা করলে দেখা যায়, চার মাসে মোটা মসুর ডালের দামও প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে।খোলা সয়াবিন তেল এখন প্রতি লিটার ৯৫ থেকে ৯৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জানুয়ারিতে তা ৮৫ টাকার মধ্যে ছিল। সয়াবিন তেলের ছোট বোতলের দামও বাড়তি। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, এক লিটারের বোতলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ১১০ টাকা। সেটা এত দিন ১০০ টাকায় বিক্রি হতো।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo