• শিক্ষা

স্কুল-কলেজের টিউশন ফি মওকুফের দাবি

  • শিক্ষা
  • ০৯ এপ্রিল, ২০২০ ১২:১৮:১৯

সিএনআই ডেস্কঃ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রায় একমাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্ধের দিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করার চিন্তাভাবনা করছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে। এদিকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সন্তানের টিউশন ফি দেওয়ার মতো অনেকের সামর্থ্য নেই বলে জানিয়েছে একাধিক অভিভাবক। তাই তারা টিউশন ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছেন। রাজধানীর একাধিক অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে গত মাসের মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে কর্মস্থল বন্ধ হয়ে গেছে। জমানো অর্থ দিয়ে কোনোমতে দিন পার করতে হচ্ছে, সেটাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। কারো কাছে গিয়ে হাত পাততে পারি না। লাইনে দাঁড়িয়ে ন্যায্যমূল্যের চাউল কিনে খেয়ে দিন পার করছি। তারা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছেন। কবে এ পরিস্থিতিতে থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে তা কেউ বলতে পারছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সন্তানের স্কুলের মাসিক বেতনটুকু দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই আমাদের পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে মানবিকভাবে সংকটময় পরিস্থিতির দিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মাফ করতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানান অভিভাবকরা। জানতে চাইলে রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফৌজিয়া বুধবার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দিয়ে আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন হয়ে থাকে। এ বাবদ প্রতিমাসে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। সংকটময় পরিস্থিতিতে টিউশন ফি ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে মানবিকভাবে এমন পরিস্থিতিতে দুই বা একমাসের বেতন মাফ করা যেতে পারে। বিষয়টি আমাদের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর গভর্নিং বডির সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ অধ্যক্ষ আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে বেশি অসুবিধায় রয়েছেন তাদের সার্বিক সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সমস্যাগুলো অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। কেউ সমস্যায় থাকলে তার কাছে মাসিক বেতন দিতে চাপ দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলে তাই এটি মাফ করলে প্রতিষ্ঠান চালাতে অসুবিধা হয়ে যাবে। মানবিকভাবে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’ গভর্নিং বডি যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুই ধরনের প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফির বড় পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি বেশি দিন বন্ধ রাখতে হয় তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo