বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা !

সিএনআই ডেস্ক: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জুনিয়রের হেনস্তার শিকার হয়ে সিনিয়র এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। মঙ্গলবার (১১ তারিখ) এই ঘটনা ঘটে। অজ্ঞান অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হামলার শিকার শিক্ষার্থী সাব মিয়া সোহেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফলিত গণিত বিভাগ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান দুর্জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাব মিয়া সোহেলকে ডেকে পাঠায়। সোহেল নীল দীঘী পাড়ে আসলে তার দেওয়া স্ট্যাটাসের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী তার দেওয়া স্ট্যাটাসের জন্য ক্ষমা চায়। এ সময় সোহেলের কথায় কর্ণপাত না করে দুর্জয় তার দলবল নিয়ে সোহেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে মারধর করে। জানা যায়, ভুক্তভোগী সাব মিয়া সোহেল দুর্জয় ও তার বান্ধবীর একটি অস্পষ্ট ছবি (পেছন থেকে তোলা) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করে। এই ছবিকে কেন্দ্র করে সোহেলের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুর্জয় ও তার সঙ্গীরা। এ সময় দুর্জয়ের বান্ধবী মারিয়াম সিদ্দিকা জেনি সোহেলকে কান ধরিয়ে হাঁটায় এবং চরমভাবে লাঞ্ছিত করে। জানা যায়, জেনি সোহেলের ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র শিক্ষার্থী। এদিকে জুনিয়র কর্তৃক লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে হামলার পরে সোহেল আত্মহত্যার চেষ্টা করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে সহপাঠীরা তাকে নোয়াখালী সদর হসপিটালে নিয়ে যায়। হামলার ঘটনায় সাকিবুল হাসান দুর্জয়ের সঙ্গে সমাজকর্ম ২০১৮-১৯ বর্ষের সোহান ও একই সেশনের বাংলা বিভাগের তানভীর মাহতাব সামি জড়িত ছিলেন। এছাড়া আরও ১০ জন অই হামলায় অংশ নেন বলে সোহেলের সহপাঠীদের সূত্রে জানা যায়। হামলার বিষয়ে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ :