• সমগ্র বাংলা

মসজিদ উন্নয়নের কাজের টাকা আত্মসাৎ!

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৩ জানুয়ারী, ২০২০ ১৮:৩১:২৯

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ টি,আর ২য় পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় নির্বাচনী এলাকা চুয়াডাঙ্গা-২ এর অনুকুলে বরাদ্দকৃত কাজের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। উন্নয়নমুলক কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া টাকা মসজিদ ও ঈদগাহ কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারিসহ ইউনিয়নের একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে অনুদানের ওই টাকা সবাই মিলে আত্মসাৎ করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্তরা টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে একে অপরের নামে দোষারোপ করতে শুরু করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ টি,আর ২য় পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় নির্বাচনী এলাকা চুয়াডাঙ্গা-২ এর অনুকুলে বরাদ্দকৃত কাজের টাকা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের মসজিদ, ঈদগাহ, মাদরাসা ও রাস্তার উন্নয়নমুলক কাজের জন্য মোট ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পায় নেহালপুর স্কুলপাড়া বাইতুল আমান জামে মসজিদ, দোস্ত আমতলাপাড়া জামে মসজিদ, ডিহি মাঝেরপাড়া জামে মসজিদ, রনগোহাইল জামে মসজিদ, শৈলমারী বড় জামে মসজিদ, আকন্দবাড়িয়া মাঝেরপাড়া জামে মসজিদ, ফুরশেদপুর মাঝেরপাড়া জামে মসজিদ ও বেগমপুর কলোনীপাড়া জামে মসজিদ ও বেগমপুর বগুলাপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ পায় ৫০ হাজার টাকা এবং ঝাঝরী ঈদগাহের উন্নয়নের জন্য ৪০ হাজার ও ডিহি গ্রামরে সিরাজুলের বাড়ির নিকট পুকুরের ধারের রাস্তা মেরামত করার জন্য বরাদ্দ পায় ৪০ হাজার টাকা করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এবং অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে জানা যায়, বেগমপুর ঝাঝরী ৩ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ঝাঝরী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে আনছার আলী ঝাঝরী ঈদগাহের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। ঝাঝরী ঈদগাহ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সেক্রেটারী আনোয়ার শেখের নিকট বরাদ্দকৃত টাকার খোঁজ খবর জনতে চাইলে তারা বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকা পাইনি বলে জানান। তারা বলেন ওই টাকার বিষয়ে আনছার আলী বলতে পারবেন। এদিকে আনছার আলী ওই টাকা মসজিদের উন্নয়নের কাজে খরচ করা হয়েছে বলে দাবী করেন। বেগমপুর কলোনীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আনছার আলী বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকা মসজিদের উন্নয়নের কাজে খরচ হয়েছে বললেও তিনি সঠিক হিসাব দেখাতে না পারেননি। এদিকে ওই মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল ডাক্তার বলছেন বরাদ্দের ওই টাকা তারা পাননি। কলোনীপাড়ার মৃত আবু ব্যাপারীর ছেলে ইউনিয়ন সম্বেলন প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম  আহব্বায়ক  আব্বাস আলী বলেন, বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকা মসজিদের উন্নয়নের কাজে খরচ করা হয়েছে। একই কমিটির মধ্যে ভিন্ন মন্তব্য সন্দেহের চোখে দেখছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। অপরদিকে, শৈলমারী বায়তুল আমান জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই মসজিদ কমিটির আগের সভাপতি এলাকার নবীছদ্দীনের ছেলে আসাদুল হক। এলাকায় বিষয়টে জানাজানি হলে তিনি ওই টাকা শোধ করে দেবেন বলে জানান। খুরশেদপুর মাঝেরপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকার ভিতর ৩০ হাজার টাকার হিসাব পাওয়া গেছে। ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি বলেন, খুরশেদপুর ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান তাকে ৩০ হাজার টাকা দেয়। বাকী ১০ হাজার টাকা অফিস খরচ হয়েছে বলে চালিয়ে দেন।এদিকে মিজানুর রহমান দোষ চাপাচ্ছেন ওয়ার্ড আ’লীগের সেক্রেটারী হামিদুল্লাকে। অপরদিকে, বেগমপুর বগুলাপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নমৃলক কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বগুলাপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী জাহিরুল ইসলাম বলেন তারা ৪০ হাজার টাকা পেয়েছেন। টাকা উত্তোলনের সময় বাকি ১০ হাজার টাকা অফিসে খরচ হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে, টাকা আত্মসাতের ঘটনা জানা জানি হলে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। এলাকাবাসী বলেন, ধর্মীয় স্থানের টাকা যারা আত্মসাৎ করেছেন তাদের সঠিক বিচার হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন সেখানে এক শ্রেণির মানুষ উন্নয়নকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টায় মাতোয়ারা। আত্মসাতকারীরা যারায় হোক তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে সঠিক বিচার করা হোক।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo