• সমগ্র বাংলা

কিশোরগঞ্জে পুলিশের সোর্সকে হত্যা

  • সমগ্র বাংলা
  • ৩০ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:১৬:১৯

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফোনে ডেকে নিয়ে পুলিশের সোর্স আবুল কাশেমকে (৫০) হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে পৌর শহরের রেলস্টেশনসংলগ্ন রেলওয়ে কলোনি থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে পরিবারের অভিযোগ, মাদক ব্যবসায়ীরা রাতে ফোনে ডেকে এনে তাকে হত্যা করে। নিহত আবুল কাশেম নরসিংদীর রায়পুরা থানার বেলাব এলাকার মৃত নাগর আলীর ছেলে। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে ভৈরব শহরের আমলাপাড়া এলাকায় বসবাস করছিলেন। এলাকাবাসী জানান, কাশেম দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করছিলেন। পুলিশের সোর্স ছাড়াও তিনি মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি মাদক মামলায় তার দুই বছরের সাজা হলে উচ্চ আদালতে আপিল করে তিনি জামিন পান। তারা আরো জানান, আবুল কাশেমের সঙ্গে শহরের পঞ্চবটি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রহিমা বেগমের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কাশেম প্রায় রাতে তার বাসায় থাকতেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে রহিমা বেগম তাকে ফোনে বাসায় ডেকে নেন। এর পর সারা রাত বাসায় যাননি কাশেম। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে রহিমার বাসা থেকে একটু দূরে রেল কলোনিতে পুলিশ কাশেমের মরদেহ পায়। কাশেমের স্ত্রী শাহারা বেগম জানান, আমার স্বামীকে বুধবার রাতে রহিমা ফোন করে তার বাসায় নিয়ে যায়। গত দুদিন আগে পঞ্চবটি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সানু ও তার বোন সুমি বেগম আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। আমার ধারণা, তারা তিনজনসহ পঞ্চবটি এলাকার একটি মাদক চক্র আমার স্বামীকে গলাটিপে হত্যা করেছে। আমি এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে কাশেমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত কাশেমের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে তার একটি জুতা রাস্তায় পাওয়া গেছে। ঠিক কী কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo