• জাতীয়

গণধর্ষণের পর ফেসবুক লাইভে চার ধর্ষকের উল্লাস

  • জাতীয়
  • ২৬ জানুয়ারী, ২০২০ ১০:৪৪:১৫

সিএনআই ডেস্ক: এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ধর্ষকদের উল্লাসের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে তারা উল্লাস প্রকাশ করে বলে,হ্যালো ফ্রেন্ডস্ আমরা আগামী কালকা হয়তো জেলে থাকতে পারি। না হয় বাড়ির আশেপাশে থাকতে পারব না। আর আমাদের মনে হয় আমি আর শরীফ দুইজনের থিকা একজন বিয়া করতে। গত ১৫ই জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এনার্জি ড্রিংকসের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে কিশোরীকে অজ্ঞান করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চার বন্ধু। কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ওই চার বন্ধু একটি সেলুনে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে। শুক্রবার রাতে ওই ৪ ধর্ষক গ্রেপ্তারের পর তাদের মোবাইল থেকে ভিডিওটি উদ্ধার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল হোতা শরীফ হোসেন (১৮), ধর্ষণের পরিকল্পনাকারী ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার গোলাভিটা গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে আহসান ওরফে হাসান (১৬), সহযোগী ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান সুজন (১৯) ও গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সাবাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০)। তারা পরিবারের সাথে নয়নপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। র‌্যাব জানায়, ১৫ই জানুয়ারি বিকেলে ওই চার বন্ধু জন্মদিনের কথা বলে নয়নপুর এলাকার একটি বাসায় ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায় ও জন্মদিনের কেক কেটে সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করে। জন্মদিন অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এনার্জি ড্রিংকসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করিয়ে কিশোরীকে অজ্ঞান করে। পরে কিশোরীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। মামলার ২নং আসামি ইমরান হাসান সুজন তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে আসামিরা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo