• সমগ্র বাংলা

রৌদ্রময় দিন কিন্তু রাতে কনকনে শীত!

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৫ জানুয়ারী, ২০২০ ১১:০৫:২৫

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধঃ  দুদিন ধরে সূর্যের কিরণে দিনভর রোদ উঠলেও সন্ধ্যা নামলেই বইতে শুরু করে ঠান্ডা বাতাসের সাথে কনকনে শীত। রাত বাড়তে থাকলে বাড়তে থাকে শীতের প্রকোপ। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা গতকাল ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষ থেকে শুরু করে এবারের মাঘ মাসের দেশের সর্বনিম্ন শীত পোহাচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক জনপদ তেঁতুলিয়ার মানুষ। এতে করে তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষেরা। লাগামহীন শীতের দাপটে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে এ অঞ্চলের সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। কনকনে শীতের কারনে শ্রমজীবিরা কাজে যেতে পারায় অর্ধ-অনাহারে কাটছে বেকার বসে থাকা মানুষদের। শীতের কারণে অফিস-আদালতগুলোতে স্থবির হয়ে পড়েছে কাজকর্ম। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রশাসনিক কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দেরিতে অফিসে উপস্থিত হচ্ছেন কর্মকর্তা/কর্মচারীরা। এদিকে শীত নিবারনে বাড়ির উঠোন কিংবা রান্নাঘরে খড়খুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেয়ার চেষ্টা করছে। সন্ধ্যার পর এখানকার বিভিন্ন হাট বাজারে ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের কাপড় নিতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। সাধ্যের মধ্যে কিনে নিচ্ছে শীত নিবারনে গরম কাপড়। সন্ধ্যার পর বাজারের বিভিন্ন স্থানে খরকুটো, কাগজের বাক্স জড়ো করে আগুন লাগিয়ে শীত নিবারনের দৃশ্য দেখা যায় বাজারবাসীর। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান,৩৯ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এদিকে শীতের কবলে পড়ে দিন দিন অসুস্থ হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা। শৈত্যপ্রবাহ ও লাগামহীন শীতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন আবাদী ফসল বলে জানিয়েছে কৃষকরা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo