শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের কলারগাও গ্রামের সৌদি প্রবাসী মৃতঃ মোহর আলী সরদারের ছেলে ইউনূস সরদার (৪৪) যৌতুকে দাবিতে ঢাকায় বসবাসরত মাদারটেক ভাড়া বাসায় ২৫ জানুয়ারি অনুমান রাত ১১ টায় অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী একই গ্রামের নান্নু মৃধার মেয়ে রুমা আক্তার (৩১) কে বেধর মারধর করে। ঘটনা শুনতে পেয়ে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ঢাকা মুগদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ৩ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। এবং মুগদা থানা পুলিশ রুমার স্বামী ইউনূস সরদারকে গ্রেপ্তার করেন। ঘটনা সূত্রে জানা যায় ২০০৭ সালে নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন কলারগাও গ্রামের সৌদি প্রবাসী মৃতঃ মোহর আলী সরদারের ছেলে ইউনূস সরদার এর সাথে একই গ্রামের নান্নু মৃধার মেয়ে রুমা আক্তারের সাথে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়। দীর্ঘ ১২ বছর সংসার জীবনে মুছকান (০৭) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর বিবাদী ব্যবসা করবে বলে বিভিন্ন সময় রুমার পরিবারের ইতালি প্রবাসী ভাইদের কাছ থেকে এ যাবৎ ১৩ লক্ষ টাকা নেয়। এবং সৌদি থাকবেনা দেশে ব্যবসার কথা বলে আরো ২০ লক্ষ টাকার দাবি করে। রুমা ভাইদেও কাছ থেকে আর টাকা আনা সম্ভব না বললে ঢাকায় বসবাসরত বাসায় গত ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার অন্তঃস্বত্ত্বা রুমাকে তাহার স্বামী ইউনূস সরদার, তার ভাই আজিজ সরদার (৫৫) ও মনি বেগম মিলে বেধর মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালায়। আশেপাশের মানুষ চিৎকার শুনে রুমাকে উদ্ধার করেন। রুমার ভাই বাকের মৃধা বলেন, বোনের সুখের কথা চিন্তা করে বিয়ের পর এ পর্যন্ত মোট ১৩ লক্ষ টাকা দিয়েছি আরো ২০ লক্ষ টাকার দাবিতে আমার বোনকে নির্যাতন করেছে। আমার বোন সাত মাসের অন্তঃ স্বত্তা এবং সাত বছরের একটি ভাগনি রয়েছে। প্রায়ই যৌতুকের টাকার দাবিতে আমার বোনকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ও সব কিছু সহ্য করতো এ বিষয় আমাদের কিছুই জানাতো না। ঐ দিন প্রতিবেশিরা আমার বোনকে উদ্ধার না করলে ওরা আমার বোনকে হত্যা করতো। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আই সি ও তে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে। আমার বোন মামলা করায় তার ভাসুর আজিজ সরদার আমাদের পরিবারকে প্রাণ নাষের হুমকি দিতেছে। আমরা এখন আমার অসহায় বোনকে নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগতেছি। আমি ঐ পরিবারের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করি যাতে করে আর কোন বোন এভাবে নির্যাতনের শিকার না হয়। এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ঢাকা মুগদা থানায় মামলার তদন্ত অফিসার মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধনি (২০০৩) যৌতুকের দাবিতে মারধর ও সহায়তার অপরাধ মামলার ভিত্তিতে প্রধান আসামী রুমার স্বামী ইউনূস সরদারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। বাকি আসামী পলাতক রয়েছে আমরা তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবো।
শ্রীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে ধানের খলায় কাজ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৭ জুয়ারিকে ...
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ বর্তমানে স্মার্ট টিভি বেশ জনপ্রিয় হয়...
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ হাসুয়া দিয়ে একজনকে কুপিয়ে হত্যা ...
মন্তব্য ( ০)