• অর্থনীতি

পেঁয়াজের দাম নিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষোভ

  • অর্থনীতি
  • ০৭ জানুয়ারী, ২০২০ ০৮:৩৮:২৩

ন্যাশনাল ডেস্ক: ফের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করছে। সবকিছু পথে আনতে হবে। ক’দিন আগে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মাঝে কমেছে, আবার বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা কী এটা আমি বুঝি না। যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। এটা তো হতে পারে না। সোমবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) পঞ্চম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। এই অবস্থা উত্তরণে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখানেও মনে হয় তোমাদের ভূমিকা থাকতে পারে। ছাত্ররা ইচ্ছা করলে কি না পারে। ছাত্ররা যদি মনে করে বাংলাদেশে ডিসিপ্লিন আসবে তাহলে মনে হয় পারবে। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় গত নভেম্বর মাসে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশের বাজারে ৩০-৪০ টাকার এই পণ্যের দাম বাড়তে বাড়তে ২৫০ টাকায় ওঠে। এরপর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির পাশাপাশি বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ ওঠায় দাম কমতে থাকে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশি নতুন পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার আশপাশে আসলেও সম্প্রতি আবার বেড়ে তা ১৮০ টাকায় উঠে যায়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা যখন বোতলে পানি খাও সেটা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে ফেলো না। এর বাইরে গেলেই ছুঁড়ে ফেলছ। বিদেশে গেলে স্টেশনে থুথু ফেলার সাহস পায় না। টিস্যু পেপারে থুথু ফেলে পকেটে রাখে, পরে ডাস্টবিনে ফেলে। আর আমাদের এখানে কোথায় ওয়ালে পড়ল, না কারও শরীরে পড়ল…এই অবস্থা। এই নেচার পরিবর্তন করতে হবে। রাস্তাঘাট এমন অপরিষ্কার থাকে, মারাত্মক অবস্থা। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই এই অবস্থা।সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সারা বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্র যারা আছে তারা যদি একটা ক্যাম্পেইন কর, মানুষকে বলো, যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলা যাবে না। এটা করতে পারলে আমার মনে হয় বাংলাদেশ একটা ডিসিপ্লিনে আনতে পারব। না হলে বাংলাদেশ একটা ডাস্টবিন মনে করে চলছি। সমাবর্তনে ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ও তিনবাহিনীর প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo