• শিক্ষা

১০৭ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ

  • শিক্ষা
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৯:১৪:৩২

সিএনআই ডেস্ক:  বৈধ অধ্যক্ষের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে ১০৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মুঠোফোনে এ খবর নিশ্চিত করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহা। জানা যায়, সদ্য জাতীয়করণকৃত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মণ্ডল তার দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না। ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রুপালী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপককে চিঠি দেন। চিঠিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে বেতন না দিতে সুপারিশ করা হয়। এদিকে বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা ফুঁসে উঠেছে। কয়েকদিন ধরেই তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মণ্ডলের কক্ষে হৈচৈ করছেন। ফলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মণ্ডল এখন জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য শিক্ষক কর্মচারীদের এড়িয়ে চলছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের সাক্ষরিত (কলেজ-৩) এক চিঠি সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশন ১০৩২/১৬ রায় মোতাবেক  সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার পূর্বক তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু অধিদপ্তরের সেই আদেশ তিনি প্রতিপালন না করে টালবাহানা করেন। এ কারণে মজিদ মণ্ডলের সাক্ষরে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন না দিতে রুপালী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপককে চিঠি দেন। শাখা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘গত মাসে সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের কোন বেতন সীট আসেনি।’ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহা জানান, বেতন বন্ধ হয়নি। অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির কাছে একটি আবেদন করেছেন। তার প্রেক্ষিতে ডিজি অফিস থেকে বলেছে মজিদ মণ্ডলের সাক্ষরে যেন বেতন না দেওয়া হয়। সেই কারণে চেকে স্বাক্ষর করেও কাজ হচ্ছে না। এজন্য আমরা স্বাক্ষরও করছি না। ডিজির চিঠির বাইরে ব্যাংক ম্যানেজারও কাজ করতে পারছে না। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মণ্ডলের কাছে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo