• জাতীয়

জা‌বির প‌রি‌স্থি‌তি পর্য‌বেক্ষণ কর‌ছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

  • জাতীয়
  • ০৫ নভেম্বর, ২০১৯ ১৭:১১:৪৮

ন্যাশনাল ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী পর্য‌বেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সেতুমন্ত্রী একথা বলেন। কাদের বলেন, তি‌নি (প্রধানমন্ত্রী) অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। এক সপ্তাহ ধরে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার অবরোধ-ধর্মঘটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে সরকার কিছু ভাবছে কি না, জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আছে। এর সর্বশেষ খবর প্রধানমন্ত্রী জানেন। কোনো ব্যবস্থা নিতে হলে তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে তা নেবেন।' ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারপ্রধান এ ব্যাপারে খুব সজাগ। তিনি বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করছেন। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন।’ বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ বরিশাল-ভোলা সেতুর কাজ শিগগির শুরু হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু হবে বরিশাল-ভোলা সেতু। এই সেতুর দৈর্ঘ হবে ৮ কিলোমিটার। যা পদ্মা সেতুর চেয়ে দৈর্ঘে বড় হবে। এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। অলরেডি বরিশালা-ভোলা সেতুর ফিজিবিলিটি টেষ্ট শেষ হয়েছে, সেতুটির সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এখন শুধু রয়েছে ডিপিপি প্রনয়নের কাজ চলছে। ফান্ডিংয়ের ব্যপারে কথাবার্তা হচ্ছে, চায়না এই সেতুতে অর্থায়ন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বরিশাল-ভোলা সেতু পদ্মা সেতুর মত ডাবল ডেকার হবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বরিশাল ভোলা সেতু পদ্মার মত ডাবল ডেকার হবে না, এটা হবে সড়ক সেতু। সরকারের উন্নয়নমূলক বড় প্রজেক্টে বড় দুর্নীতি হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়ন অগ্রগতিতে সারা বিশ্বে বিস্ময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটা দৃশ্যমান কাজ বিএনপি দেখাতে পারবে না। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কল্পনায়ও ছিল না। যারা বাইরে থেকে চার-পাঁচ বছর পর এসেছেন, তারা অবাক হয় ঢাকা সিটিতে কি পরিমান পরিবর্তন হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo