• সমগ্র বাংলা

অবশেষে সেই শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার!

  • সমগ্র বাংলা
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:৪৭:০২

অবশেষে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিটলারুজ্জামানকে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) আব্দুল আলিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশে হিটলারুজ্জামানকে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় বদলি করা হয়। জানা যায়, একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুর্নীতির তদন্তে গঠিত কমিটি বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে অন্যত্র বদলিসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। শিক্ষক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিটলারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণের ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য উপকরণ কেনার ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, ‘ছোটদের শেখ হাসিনা’ বইটি ৮০০ টাকার স্থলে ১ হাজার টাকা দরে তার অধীন স্কুলগুলোতে বিক্রি করে বইপ্রতি ২০০ টাকা হারে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিতি, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যাওয়া, উপজেলার দাগনপাড়া মোশাররফ হোসেন ও বাংলাবাজার জয়নাল আবেদীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষকের কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৪৬ জন শিক্ষকের কাছ থেকে সার্ভিস বহি খোলার নামে ২ হাজার টাকা হারে ৯২ হাজার টাকা গ্রহণ, উন্নয়ন মেলার নামে উপজেলার ১০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি থেকে ৫০০-১০০০ টাকা করে আদায়, চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে আদায়, উপজেলা পরিষদ থেকে পাওয়া চেয়ার, টেবিল, ফাইল কেবিনেট নিজের বাসায় ব্যবহার করা, অভ্যন্তরীণ মডেল টেস্ট গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা হারে প্রায় দুই লাখ টাকা আদায়, শিক্ষক বদলির নামে বাণিজ্য, ১০৯টি বিদ্যালয় থেকে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত সমীপের অর্থ আদায়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপজেলার ২০টি বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের জন্য ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা করে, একই অর্থ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য উপজেলার ১৮টি বিদ্যালয়কে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দেওয়া হয়। বরাদ্দ পাওয়া ১৮টি বিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার টাকা করে এবং বিদ্যালয়ে রুটিন মেরামতের জন্য ৪৮টি বিদ্যালয়কে ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo