ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ছড়ানোর পেছনে বাংলাদেশের মশার সক্রিয় ভূমিকা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, বাংলাদেশে খুব ডেঙ্গু হচ্ছে। আমাদের বাড়তি সাবধানতা গ্রহণ করতে হবে। সীমান্ত এলাকায় মশা ওপার থেকে এপারে আসছে। আবার এপার থেকে ওপারে যাচ্ছে। দু’পারেই অনেক লোকও যাতায়াত করেন। সব মিলিয়ে তাই ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার পৌরসভার কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু মোকাবিলা পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝতে বাংলাদেশ প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার ‘সবুজ বাঁচাও’ অভিযানের ডাক দিয়ে বিড়লা তারামণ্ডল থেকে নজরুল মঞ্চ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মমতা। সমাজের সর্বস্তরের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য এই মিছিলের শেষে বক্তৃতায় অন্য নানা প্রসঙ্গের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু হলে এখানে তার প্রভাব পড়ে। তাই সীমান্ত এলাকাগুলোতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও সাধারণভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করেন মমতা। ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৭শ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকা হাবরায়। জেলার সরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে এখানে। জেলার ব্যারাকপুরে ৫৬, অশোকনগর-কল্যাণগড়ে ৫৬, ভাটপাড়ায় ৩৮, বিধাননগরে ৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলার টিটাগড়ে ৫৩, পানিহাটিতে ৪০ এবং খড়দায় ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবিলায় এবার তুলনামূলক ভাল অবস্থানে রয়েছে দমদম, দক্ষিণ ও উত্তর দমদম পুর এলাকা।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে পুলিশের 'নো হেলম...
স্পোর্টস ডেস্ক: রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দুই দেশের মধ্যে সি...
বিনোদন ডেস্কঃ বিশ্বের প্রাচীন চলচ্চিত্র উৎসব বলা হয় কানকে...
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মানু...
মন্তব্য ( ০)