• আন্তর্জাতিক

জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে ভারতকে কড়া জবাব দিল পাকিস্তান

  • আন্তর্জাতিক
  • ০৫ আগস্ট, ২০১৯ ১৭:২৮:৪৮

জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পরই ভারতকে কড়া বার্তা দিল পাকিস্তান৷ এতদিন উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের বীজবপনের যে কাজ করে আসছিল ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিণ্ডি, এবার তা বন্ধের আশঙ্কায় নড়েচড়ে বসল ইমরান প্রশাসন৷ ক্ষোভের সুরে পাক বিদেশমন্ত্রী জানালেন, কাশ্মীর সমস্যা আবারও জাগিয়ে তুলতে চাইছে ভারত৷ এমনকী এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘেরও দ্বারস্থ হতে চলেছে পাকিস্তান৷ জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ সুবিধাভোগী রাজ্যের মর্যাদা তুলে নিতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজেপি সরকার৷ অবশেষে সোমবার সকালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সেই স্বপ্ন সার্থক করতে সমর্থ হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ উপত্যকা থেকে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারার অবলুপ্তির জন্য এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্র৷ এবং সেই প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি৷ এরপরই, পুনর্জন্ম হল জম্ম-কাশ্মীরের৷ বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে তৈরি হল লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের৷ কিন্তু কাশ্মীরবাসীর শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ মন থেকে মানতে পারল না পাকিস্তান৷ মোদি সরকারের এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের বিরোধিতায় সুর চড়াল সেদেশের বিদেশ মন্ত্রক৷ সংশ্লীষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী মেহবুদ কুরেশি জানালেন, ‘‘৩৫এ ধারার অবলুপ্তির ফলে ভারতের তথাকথিত গণতান্ত্রের আসল রূপ বিশ্বের সামনে প্রকাশ করল৷ কাশ্মীরের নেতৃত্ব ভারতের এই সিন্ধান্তকে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারবে না৷ এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীর সমস্যাকে পুনরুজ্জীবিত করবে৷’’ এখানেই শেষ নয়, এই সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যে রুখে দাঁড়াবে, সেই হুঁশিয়ারিও দেন তিনি৷ এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন। কেবল পাকিস্তান নয়, ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে কাশ্মীরের দুই রাজনৈতিক দল পিডিপি ও এনসি-ও৷ সোমবার বিতর্কিত ৩৭০ ধারা বাতিল হতেই রাজ্যসভায় ভিতরে ও বাইরে প্রতিবাদের ঝড় তোলে বিরোধীরা। সংবিধানের প্রতিলিপি ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখান পিডিপির দুই সাংসদ মীর ফৈয়াজ ও নাজির আহমেদ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের খবর পেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে কালো দিন। কাশ্মীরের মানুষ কোনওদিনই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।’ এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই ঘটনাকে বিশ্বাসঘাতকতার চরম নিদর্শন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo