• আন্তর্জাতিক

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান চীনের

  • আন্তর্জাতিক
  • ০৭ আগস্ট, ২০১৯ ১৪:৪৮:৩০

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ ধারা বাতিল করায় উত্তপ্ত গোটা ভারত। দেশ-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়ে গিয়েছে কাশ্মীর পুনর্গঠনের বিল। অর্থাৎ এবার থেকে আর স্পেশাল স্টেটাস পাবে না কাশ্মীর। একইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর হবে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) লোকসভায় সেই বিল পাশ হওয়ার পরই একগুচ্ছ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ায় ভারতের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন। চীন বলছে, লাদাখের সঙ্গে চীনের বিরোধীয় সীমান্ত রয়েছে। নয়াদিল্লি তার আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ডন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীন এক বিবৃতিতে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করেছে। বেইজিং বলছে, লাদাখ এলাকাটি বেশিরভাগ বৌদ্ধদের বসবাস। এটি কৌশলগতভাবে তিব্বত ও পাকিস্তানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হুয়া চুনইয়াং মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিম অঞ্চলে চীন-ভারত সীমান্তে ভারত চীনা অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধীতা করে আসছে। ভারত অভ্যন্তরীণ আইন একতরফা সংশোধন করায় চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে টেলিফোন ও খুদে বার্তায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে ট্রিবিউন। হুয়া বলেন, কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান ও ভারতকে বিরোধীয় অঞ্চল নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি। চীন ভারতকে সীমান্তের সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তোলে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিল। ভারত ও চীনের সঙ্গে লাদাখ নিয়ে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। সোমবার ওই এলাকাটির বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় ভারত। ফলে চীনের সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন চীনা সেনারা বেশ কয়েক কিলোমিটার উত্তরে লাদাখের দিকে অগ্রসর হয়েছিল তখন দু’সপ্তাহের স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল ওই অঞ্চলে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo