• আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরিদের পক্ষে বিপক্ষে যেসব দেশ

  • আন্তর্জাতিক
  • ০৭ আগস্ট, ২০১৯ ১৭:২১:৪৮

ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারায় কাশ্মীরিদের দেয়া সুবিধা বাতিল করার পর থেকে মোদি সরকারকে নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন দেশ। সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল ঘোষণা করে দেশটির সরকার। পরে লোকসভায়ও প্রস্তাবটি পাস হয়। সোমবারই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। পাকিস্তান: কাশ্মীরিদের পক্ষে প্রথম অবস্থান নেয় পাকিস্তান সরকার। ভারতকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও প্রয়োজনে কাশ্মীরিদের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দেয়। মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদও কাশ্মীরিদের পক্ষে অবস্থান নেয়। ভারত সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ফোন করেন তিনি। জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেষণের ফাঁকে ইমরান খানের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন বলেও জানান। তুরস্ক: সোমবারই কাশ্মীরিদের পক্ষে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এই বিষয়ে তুরস্কের দৃঢ় সমর্থন পাকিস্তানের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। চীন: জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ায় ভারতের সমালোচনা করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হুয়া চুনইয়াং মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, চীন ভারতকে সীমান্তের সমস্যাটিকে আরো জটিল করে তোলে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিল। আরব আমিরাত: জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ ভাগ করার সিদ্ধান্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আহমেদ বান্না বলেন, 'এমন পদক্ষেপের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে সামাজিক ন্যায়বিচার হবে। বাড়বে সরকারের উপর মানুষের আস্থাও।' তিনি বলেন, রাজ্যের পুনর্গঠন স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কোনো ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করে উন্নতির লক্ষ্যে মূলত এটি করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র: কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মরগান ওরতেগাস বিবৃতিতে বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে যা হচ্ছে তা নজরে রাখছি আমরা। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভাগ করা ও তাদের সাংবিধানিক অধিকার বিলোপ করার বিষয়টি নজরে রয়েছে।’

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo