• খেলাধুলা

২০০৩ বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র ক্রিকেটার গেইল ও মাশরাফি

  • খেলাধুলা
  • ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ ১২:৫২:৪০

গেল দুই বিপিএলে দুজন ছিলেন সতীর্থ। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। তবে আন্তর্জাতিক আঙিনায় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী তারা। আসছে বিশ্বকাপেও একে অপরের বিপক্ষে লড়বেন দুজন। আবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ একই বিন্দুতে দুই মহারথীকে মিলিয়ে দিচ্ছে। একটা জায়গায় তাদের বন্ধনীতে রাখছে আসন্ন বৈশ্বিক আসর। ২০০৩ বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে কেবল তারাই খেলবেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। গেইল ও মাশরাফির জন্য ২০০৩ বিশ্বকাপ ছিল দুই রকম। শুরুটা ভালো না হলেও শেষ দুই ম্যাচে রান পান ক্যারিবীয় দানব। তবে প্রথম দুই ম্যাচ খেলেই চোট নিয়ে ছিটকে যান ম্যাশ। চোট কাটিয়ে ১৪ মাস পর ওই বিশ্বকাপ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হানা দেয় অদ্ভূত চোট। অনুশীলনে বলের ওপর পড়ে পা মচকে যায়। শেষ হয়ে যায় তার প্রথম বিশ্বকাপ অভিযান। তাই সেবার দেখা হয়নি দুজনের। গেইলের এটি হতে যাচ্ছে টানা পঞ্চম বিশ্বকাপ। হতে পারতো ষষ্ঠ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের আগেও কড়া নাড়ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুয়ারে। ১৯৯৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করেন তিনি। তার প্রতিভার আলো ছড়িয়ে পড়ে ক্যারিবীয় দ্বীপসমূহে। আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেবার জায়গা পাননি ব্রায়ান লারার দলে। বিশ্বকাপের মাস তিনেক পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে নামেন বিস্ফোরক ওপেনার। তবে এটি মাশরাফির চতুর্থ বিশ্বকাপ। দেশের মাটিতে ২০১১ বিশ্বকাপে ফিটনেস ইস্যুতে বিতর্কিতভাবে স্কোয়াড থেকে ছিটকে পড়েন নড়াইল এক্সপ্রেস। সেই তিনিই এবার প্রথম অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন দুটি বিশ্বকাপে। এর আগে গেল ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে টাইগারদের নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক।

ধরে নেয়া হচ্ছে, মাশরাফি-গেইলের শেষ বিশ্বকাপ এটি। তাই আসন্ন আসরে অপূর্ণতাগুলোকে পূর্ণতায় রূপ দেয়ার শেষ সুযোগ তাদের।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo