• অর্থনীতি

‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচির জন্য শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছিলো দুই অর্থনীতির প্রস্তাবনা’

  • অর্থনীতি
  • ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ ১৩:৪৩:৪২

ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারপাসন, অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু 'দুই অর্থনীতির প্রস্তাবনা'র ভিত্তিতেই ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন এবং কার্যত দুটি সার্বভৌম দেশের দুর্বল ফেডারশনের প্রস্তাব করেন'। শনিবার বাংলার পাঠশালার আয়োজনে 'ফ্রম টু ইকোনমিস টু সিক্স পয়েন্টস: আওয়ার রোড টু ইনডিপেন্ডেন্স' শীর্ষক নিবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ডেপুটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলামের লেখার ভিত্তিতে এই নিবন্ধটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ড. আতিউর রহমান বলেন, 'পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে উন্নয়নের ব্যাপক ব্যবধান কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই ১৯৫০-এর দশকের শেষ ভাগে 'দুই অর্থনীতিরি প্রস্তাবনা' সামনে আসে। পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করে আসছিলো। এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই, পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদরা পাকিস্তানের দুই অংশের জন্য দুটি আলাদা অর্থনীতির পক্ষের যুক্তিগুলো তুলে ধরেন। তাঁরা দুটি অর্থনীতির জন্য পৃথক প্রবৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ এবং পাকিস্তানের দুই অংশের উন্নয়নের ব্যবধান ঘোচানোর সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতির প্রস্তাব করেন'। তিনি আরও বলেন, 'এই প্রস্তাবনাগুলো যথাযথভাবে সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারকদের কাছে পৌঁছানোর পরও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ভ্রুক্ষেপ করেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এই প্রস্তাবনাগুলোর যৌক্তিকতা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের ও কার্যকর উন্নয়নের জন্য এগুলোকে প্রয়োজনীয় মনে করেছিলেন। তাই দুই অর্থনীতির প্রস্তাবনাকে ঘিরে জনপরিসরে যে সংলাপ হয়েছিলো তার ভিত্তিতেই তিনি ছয় দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছিলেন। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৭০-এর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভূমিধ্বস বিজয় অর্জনে সক্ষম হয়েছিলো। এর পরের ইতিহাস সকলেরই জানা'।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo