• সমগ্র বাংলা

ফসলি জমিতে মাছ চাষ, হুমকির মুখে আবাদ

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৬ এপ্রিল, ২০১৯ ১১:৫৪:৪৭

মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ: নরসিংদীতে পুকুর খননকারীদের আগ্রাসনে ক্রমেই হারাচ্ছে আবাদি জমি। গত বেশ কয়েক বছরের ব্যবধানে নরসিংদীতে ফসলি জমি গুলো পুকুরে পরিণত হয়েছে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কৃষি জমি না জলাশয়। এ আগ্রাসন এখনও চলছে ফলে ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে পুকুর। এ কারণে অস্বাভাবিক হারে কমে যাচ্ছে ফসলি জমি এতে বোরো আবাদ কমলেও মাছ চাষ বেড়েছে। কৃষকরা পুকুর খননের জন্য বোরো জমি ইজারা দিচ্ছেন। আর উচ্চ আদালত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে এসব আবাদি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। কৃষি জমিতে পুকুর খননের কারণে ধানচাষ হুমকির মুখে পড়েছে। জেলার নরসিংদী সদর, মাধবদী, ঘোড়াশাল, পলাশ, শিবপুরে আবাদি জমিতে পুকুর চোখে পরার মতো এ কারণে কমে গেছে বোরো আবাদও। কয়েক বছর আগেও যেখানে বোরো চাষ হতো এখন সেখানে দেখা মিলবে পুকুরের। গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে এসব পুকুর খনন করা হয়েছে ধানের বদলে এখন চলছে মাছ চাষ। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য কৃষিজমি (ধানী) ইজারা নিয়ে সেখানে পুকুর খনন করেছেন। প্রতি বছর কৃষকদের ইজারার টাকা পরিশোধ করা হয়। ধানের ভাল দাম না পাওয়ার কারনে লাভের আশায় কৃষকরা জমি পুকুরের জন্য ইজারা দিয়ে আসছেন বলে তারা স্বীকার করেছেন। কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করে যে টাকা পাওয়া যায় তা থেকে চাষাবাদের খরচই ওঠে না। তবে পুকুরের জন্য জমি ইজারা দিয়ে এর দুই থেকে তিনগুণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে বেশ কিছু এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষক অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীরা অনেক সময় কৌশলে কৃষকদের ধানী জমি ইজারা নিয়ে অন্যদেরও ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইজারা দিতে বাধ্য করছেন। বোরো খেতের সামান্য পরিমাণ জমি ইজারা নিয়ে সেখানে পুকুর খনন শুরু করছেন। এর ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আশপাশে ধানী জমিগুলোও অনাবাদি থাকছে। নিরুপায়ে ওইসব মালিকেরাও জমি ইজারা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo