• সমগ্র বাংলা

অবাধে অতিথি পাখি শিকার

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৮ জানুয়ারী, ২০১৯ ১৯:৫৭:২৩

খুলনার তেরখাদা উপজেলায় অতিথি পাখি শিকারীরা বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বিলে অতিথি পাখি শিকারের জন্য ব্যবহার করছে নানা ধরনের ফাঁদ। এসব ফাঁদ দেখে দূর থেকে মনে হবে বিলজুড়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। এটা কোনো বৈদ্যুতিক লাইন নয়। এটা পাখি ধরার জন্য শিকারীদের পাতা ফাঁদ। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে অতিথি পাখির এমন অবাধ বিচরণের স্থান ভয়ানক কালে রূপ নিয়েছে। জেলার তেরখাদা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বিল, খাল ও জলাশয়ে অতিথি পাখিদের আগমন ঘটছে। এদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা উপজেলা সদরের কাটেংগা বাজার, জয়সেনা বাজার, তেরখাদা বাজার, সহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে এসব পাখি বিক্রি করছে। স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকারী কোন উদ্যোগ না থাকায় পাখি শিকারের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পেশাদার শিকারীরা বিভিন্ন কায়দায় দেশি বিদেশী এসব অতিথি পাখি নিধনে তৎপর হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধ ভুতিয়ারবিল এলাকার নাচুনিয়া, ইন্দুহাটি, পাখিমারা, নৌকাডুবি, আড়কান্দি, আউরোবুন্নি, বাসু খালী বিল এলাকার ইখড়ি, কাটেংগা, বারাসাত, কোলা, নলামারা, হাড়িখালী সহ বিভিন্ন ছোট বড় বিলগুলোতে শিকারীরা জালের ফাঁদ, বিষটোপ, কেউ ভ্যাপের সাথে কীটনাশক মিশিয়ে, বড়শি সহ অনেক কায়দায় নির্বিচারে পাখি নিধন করছে। উপজেলার এসকল বিল এলাকাগুলোতে আগত দেশি বিদেশি পাখির মধ্যে রয়েছে কালকুচ, হাঁসপাখি, হাঁস ডিঙ্গি, ডুঙ্কর, কাদাখোঁচা, চেগা, কাচিচোরা, মদনটাক, শামুখখোলা, পানকৌড়ি, বগ, ইত্যাদি পাখির সমারহ রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার এসব বিলগুলোতে বিভিন্ন কায়দায় পাখি শিকার হচ্ছে বলে জানা গেছে। তেরখাদা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এফ এম অহিদুজ্জামান বলেন, এখানকার শিকারীরা প্রতি বছর শীত মৌসুম এলে পাখি শিকার করে, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সালেকুজ্জামান বলেন, পাখি শিকার দন্ডনীয় অপরাধ, তাই পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন আলী বলেন, ‘পাখি নিধন দন্ডনীয় অপরাধ, যারা এসব পাখি নিধন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo