• জাতীয়

নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর

  • জাতীয়
  • ১২ নভেম্বর, ২০১৮ ১৩:০৯:৪৯

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ৭ দিন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ আশা করেছিলাম, তা হয়েছে। দলগুলোকে অভিনন্দন জানাই। ঐক্যফ্রন্টসহ বিরোধী দলগুলো পুনঃতফসিলের আবেদন জানিয়েছিল, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পুনঃতফসিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে গতকাল (রোববার) ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানোর অনুরোধ জানিয়ে সিইসিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এছাড়া ভোটের তারিখ এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়ে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনও গোয়ালা তার দই খারাপ বলে না। আমরাও বলবো না ইভিএম পদ্ধতি খারাপ। তাই আপনাদের মতামতের জন্য এই মেলা করা হয়েছে। আমরা আপনাদের সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে একাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে। আমরা কমিশনাররা বৈঠক করবো। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, বাংলাদেশের এখন নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। এখন আর পার্শ্ববর্তী দেশের পরিচয় দিয়ে আমাদের পরিচিত হতে হয় না। বাংলাদেশ যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা কেন ব্যালটে পড়ে থাকবো। ইভিএম দেখেন বুঝেন তারপর মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও এনআইডির ডিজি অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর ইসলাম ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ২৩ ডিসেম্বর হবে ঘোষণা করা হয়েছিল। গেলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর, বাছাইয়ের তারিখ ২২ নভেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর ছিল।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo