• সমগ্র বাংলা

বন্দরে নিখোঁজের ৩ দিন পর নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৪৭:২৩

প্রতীকী ছবি

জেলা প্রতিনিধি: নিখোঁজের তিনদিন পর সেলিনা আক্তার (৫৫) নামে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে বন্দর ইউনিয়নের তিনগাঁও বালুর মাঠ এলাকা থেকে ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সেলিনা আক্তার তিনগাঁও এলাকার রবিউল মিয়ার স্ত্রী। তার দুইটি বাড়ি রয়েছে এর মধ্যে একটি নবীগঞ্জ রেললাইন অপরটি একই উপজেলার তিনগাঁও এলাকায়।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে নবীগঞ্জ রেললাইনের বাড়ি থেকে ঘরের কাজ কর্ম শেষ করে বেরিয়ে পড়ে সেলিনা। পরের দিন শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে সেলিনা আক্তারকে খুঁজতে বের হলে ছেলেরা নতুন বাড়ি তিনগাঁও কুশিয়ারা আসলে বাহিরের গেইট তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখে ফিরে যায়। তিন দিন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রোববার (৬ অক্টোবর) আবারও নতুন বাড়ি তিনগাঁও কুশিয়ারা ব্রিজ সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকায় আসে এবং গেইট তালা দেখে সেলিনা আক্তারের বড় ছেলের স্ত্রী ফাতেমা উঁকি দিয়ে দেখে ভেতরের ঘরের দরজা খোলা। তারপর হাতুড়ি দিয়ে গেইটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলে সেলিনার অর্ধগলিত দুর্গন্ধময় পোড়া লাশ দেখতে পায়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সিরাজুল বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে মরদেহটি সম্পর্কে সিআইডিকে জানাই। পরবর্তীতে বন্দর থানা ওসি তরিকুল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।

নিহতের স্বামী রবিউলের ভাষ্যমতে, নিহত সেলিনা ১৪ বছর প্রবাসে ছিলেন। তার সাথে নুরু এবং রাজা মিয়ার টাকা-পয়সার লেনদেন ছিল। নুরুর কাছে ৫ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল আমার স্ত্রী সেলিনা। আমার সন্দেহ পাওনা টাকা লেনদেনের কারণে এই ঘটনার সূত্রপাত।

এদিকে নৃশংসভাবে নিহত সেলিনার মেয়ের বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তিনি বলেন ঘটনাটি পরকীয়া সংক্রান্ত হতে পারে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo