• সমগ্র বাংলা

তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট দোহার নবাবগঞ্জের মানুষ

  • সমগ্র বাংলা
  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:১৮:২৩

প্রতীকী ছবি

দোহার প্রতিনিধিঃ ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন দোহার ও নবাবগঞ্জে লোডশেডিংয়ের কারণে আগস্ট থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনে কিছুক্ষণ পরপর বিদ্যুৎ চলে যায়। বর্তমান চাহিদা ৭০-৭২ মেগাওয়াট, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ৫০-৫২ মেগাওয়াট। পল্লী বিদুৎ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শুধু দিনে নয়, রাতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। দোহার ও নবাবগঞ্জ সদর এলাকা ছাড়াও গ্রাম এলাকায় একই অবস্থা বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। প্রচÐ গরমে ঘরে বসবাস করা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে লোডশেডিংয়ের কারণে। বিদ্যুৎ চলে গেলে ফ্যান না চলায় অসহনীয় গরমে বয়স্ক ও শিশুদের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সদর এলাকায় বেশি সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলা সদরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস, ব্যাংক-বীমা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যুৎ ছাড়া কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। কেন ঢাকার কাছে এত লোডশেডিং এবং ভোগান্তি-এ বিষয়ে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

নবাবগঞ্জ উপজেলার মহব্বতপুরের বাসিন্দা গৃহিণী শাহেলা বেগম বলেন, বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এই গরমে বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকায় বাচ্চাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না। আবার সকালে ঠিকমতো উঠতে না পারায় স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়। উপজেলার ধাপারী বাজারের খান মেডিকেল হলের ডা. হান্নান হোসেন খান করিম বলেন, একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোনো সময় থাকে না। এক-দেড় ঘণ্টা পর এলেও কিছু সময় পর আবার চলে যায়। বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকার কারণে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

দোহার বাজারের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মহিউদ্দিন বলেন, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এত লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের কাজের গতি কমে গেছে। দোহার উপজেলার ভাই ভাই কম্পিউটার দোকানের মালিক ওয়ালিদ বলেন, মাঝে মাঝে এমনও হয় এক পৃষ্ঠা টাইপ করার মাঝে দুবার বিদ্যুৎ চলে যায়।

মাঝিরকান্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উন্নতি রানী সরকার বলেন, আমরা এ থেকে দ্রæতই মুক্তি চাই।

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম মো. মামুন মোল্লা বলেন, আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাই ততটুকুই সাপ্লাই দিয়ে থাকি। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকায় গ্রাহকদের সেবা দিতে কষ্ট হচ্ছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo