• সমগ্র বাংলা

কুড়িগ্রামে আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে শহর, সাংবাদিকসহ আহত ৩০

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৪ আগস্ট, ২০২৪ ১৬:৩৬:০৫

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। জেলা শহরের শাপলা চত্বর থেকে দাদামোড় পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারীদের হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু এবং সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলার ফুলবাড়ী উপজেলাতেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। সেখানে বিভিন্ন সরকারি দফতরে হামলা করেছেন আন্দোলনকারীরা।  

রবিবার সকাল ১১টার পর থেকে জেলা শহরে দেশি অস্ত্র ও লাটিসোঁটা নিয়ে মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। একই সময়ে শহরের দাদামোড় এলাকায় দেশি অস্ত্র ও লাটিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিএনপির ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার পর শুরু হয় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শাপলা চত্বর থেকে দাদামোড় এলাকা। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হটিয়ে শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন আন্দোলকারীরা। এ সময় তারা শাপলা চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালান তারা। সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন আন্দোলন সমর্থকরা। তাদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাদের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। 

এর আগে রবিবার সকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের পৌর বাজারে টেলিভিশন ফোরামের সামনে থেকে দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি ইউনুছ আলীকে তুলে নিয়ে তার ওপর হামলা করে। এ সময় সময় টিভির ক্যামেরাপারসন জামিল ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি জুয়েল রানা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের ক্লাব ত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এদিকে, রবিবার সকালের পর থেকে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় সরকারদলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় পিছু হটেন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। উপজেলা শহরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি দফতরে ভাঙচুর চালান আন্দোলনকারীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়, ফুলবাড়ী থানাসহ বেশ কয়েকটি সরকারি দফতরে ঢিল ছোড়ারও খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রেসক্লাব ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কিছু যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে আব্দুল বারী নামে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে নয় জন আহত হয়েছেন। 

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, আহত অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। বাকিরা ভর্তি রয়েছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo