• সমগ্র বাংলা

বগুড়ায় এক ঘন্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৯ মে, ২০২৪ ১৯:৫৩:০৪

প্রতীকী ছবি

বগুড়া প্রতিনিধিঃ একই সঙ্গে অসুস্থ হয়ে এক ঘন্টার ব্যবধানে বগুড়ার শাজাহানপুরে স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মৃতরা হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার নিম গ্রামের হেফজুল মিঠু (৪০) ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৩৫)। তারা শাজাহানপুরের আড়িয়াবাজার এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। হেফজুল পেশায় বগুড়া শহরের আশপাশে গাছ কেনাবেচার ব্যবসা করতেন।

মৃত দম্পতির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। তাদের স্বজনেরা জানান, প্রায় একযুগ আগে নন্দীগ্রামের হেফজুলের সাথে শাজাহানপুরে প্রাণবাড়িয়া গ্রামের আফরোজার বিয়ে হয়। তবে দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তাদের কোন সন্তান ছিল না। ভাগ্য অন্বেষণের চেষ্টায় হেফজুল ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মায়েশিয়াতে প্রবাস জীবন কাঁটান। করোনা মহামারিতে সেখানে সুবিধা করতে না পেরে দেশে ফিরে তিনি শাজাহানপুরে টিনশেড বাড়ির দুই কক্ষ ভাড়া নিয়ে ভাইরা জুয়েল হাসানের সাথে গাছের ব্যবসা শুরু করেন। স্থানীয় ফোকাস সোসাইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে হেফজুল সম্প্রতি দেড় লাখ টাকা ঋণও নিয়েছিলেন। তবে সেই টাকা পরিশোধ নিয়ে কোন চাপ ছিলনা তার। প্রায় তিন মাস আগে তার স্ত্রী আফরোজা হৃদরোগে আক্রান্ত শজিমেক হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়াও তার ডায়াবেটিসের সমস্যাও ছিল। 

বাড়িওয়ালা শফিকুল ইসলাম জানান, হেফজুল তার স্ত্রীকে নিয়ে দুই বছর আগে তার বাড়ি ভাড়া নেন। তারা স্বামী-স্ত্রী মিলেমিশে থাকতেন, কখনও তাদের মধ্যে ঝগড়া দেখিনি। আজ সকালে হেফজুলকে আড়িয়াতে বাজার করে বাড়ি ফিরতে দেখি। এরকিছুক্ষণ পর আমার মেয়ে মুঠোফোনে জানান হেফজুল ও আফরোজা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দ্রুত বাসায় গিয়ে দেখি তারা ছটফট করছিলেন ও কোন কথা বলতে পারছিলেন না। এইসময় আফরোজার বোন শিমুর সহযোগিতায় তাদের শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। এখন এর মধ্যে তাদের মধ্যে কি যে হয়েছে তা তো জানি না।

হেফজুলের ভাইরা জুয়েল জানান, আফরোজার সঙ্গে হেফজুলের প্রায় একযুগ আগে বিয়ে হয়। শুরু থেকেই তিনি গাছের ব্যবসা করেন। আজ সকালে তাকে ফোনে জানিয়েছেন শহরের পুলিশ লাইনস এলাকায় গাছ কাটা হবে। এরপর খবর আসে তারা হাসপাতালে। খবর পেয়ে সেখানে গেলে দুজনকেই মৃত অবস্থায় দেখতে পান জুয়েল।

শাজাহানপুর থানা পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, তারা বিষপান করে মারা গেছেন এটা বলা সম্ভব না। কারণ চিকিৎসা দেওয়াই সম্ভব হয়নি। কিন্তু মৃত্যুর আগে তারা দুজনই ছটফট করছিলেন। তাদের মৃত্যুর লক্ষণে আত্মহত্যার ধারণা করা যায়। এ বিষয়টি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আর পুলিশ স্থানীয়ভাবে ঘটনা জানার চেষ্টা করছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo