নওগাঁ-৬ আসনে এমপি হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন

ছবিঃ সিএনআই

নওগাঁ প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে নতুন মুখের সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতিক) এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। রবিবার রাতে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দেওয়া বেসরকারি ফলাফলে এই তথ্য জানা গেছে।

তরুন প্রজন্মের আইকন ও এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে খ্যাত নওগাঁ-৬ আসনকে নতুন মোড়কে বদলে দেওয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জেলার আত্রাই উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমানের ছেলে তিনি। দীর্ঘদিন রাণীনগর উপজেলার দখলে থাকা এমপি পদটি নতুন করে আত্রাই উপজেলার দখলে নিয়ে নিজের বাবার পর এই আসনের ইতিহাসের পাতায় নতুন মানুষ হিসেবে নাম লিখালেন এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন।

বিজয়ী প্রার্থী এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন মোট ৭৬হাজার ৭১৭ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী আওয়ামীলীগ মনোনীত (নৌকা মার্কা) প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট। এই নির্বাচনে নওগাঁ-৬ আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র, তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীসহ মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এদিকে ভোট শুরুর পর থেকে শেষ পর্যন্ত এই আসনে বিচ্ছিন্ন কিছু ছোট ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠ, সুন্দর, অবাধ, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় ভোট গ্রহণ।

রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ২৭হাজার ৯৭৩ জন। রাণীনগর উপজেলায় ৫৪টি ভোট কেন্দ্র ও আত্রাই উপজেলায় ৬০টি ভোট কেন্দ্রসহ মোট ১১৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাণীনগর উপজেলায় ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোট সংগ্রহ হয়েছে শতকরা ৪৪.৪৬ ভাগ ও আত্রাই উপজেলায় ৬০টি কেন্দ্রে ভোট সংগ্রহ হয়েছে শতকরা ৪৮.৯৪ ভাগ। বিজয়ের অনুভ’তি ব্যক্ত করতে গিয়ে এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন বলেন এই বিজয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং আত্রাই ও রাণীনগরবাসীর বিজয়। আধুনিক এবং বৈষম্যহীন রাণীনগর ও আত্রাই গড়ে তোলার প্রত্যয়ে উপজেলার মানুষদের চাওয়ার ভিত্তিতে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। মহান সৃষ্টিকর্তার দয়ায় এই আসনের সর্বস্তরের মানুষরা যে ভালোবাসার বিনিময়ে আমার গলায় বিজয়ের মালা পড়িয়ে দিয়েছেন আমি তার জন্য চিরকৃতজ্ঞ।