• প্রশাসন

বগুড়া পুলিশ প্লাজায় ৭দিন ব্যাপী উই হাটবাজার মেলা শুরু

  • প্রশাসন
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ২০:০২:২৮

ছবিঃ সিএনআই

বগুড়া, প্রতিনিধিঃ বগুড়া পুলিশ প্লাজায় উদ্যোক্তাদের বাহারি রং ও কারুকার্যের পোষাক এবং ঘরে তৈরি নানা স্বাদের খাবারের পশরা নিয়ে শুরু হয়েছে উই হাটবাজার মেলা-২০২৩। উইমেন এন্ড ই-কমার্স (উই) এর আয়োজনে এবং জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ৭দিন ব্যাপী এই মেলায় স্থান পেয়েছে উদ্যোক্তাদের ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের ২৭টি স্টল।
শুক্রবার সকালে ফিতা ও কেক কর্তনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বগুড়া পুলিশ প্লাজার ২য় তলায় ব্যতিক্রমী এই মেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)  স্নিগ্ধ আখতার পিপিএম ও বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন। উই এর বগুড়া জেলা প্রতিনিধি হোমায়রা লুবার পরিচালনায় উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আব্দুর রশিদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাপ্পী ভান্ডারী।

এসময় বক্তারা বলেন, পরিবার ও সমাজে আর্থিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে নারীরা উন্নত বিশ্বের ন্যায় বর্তমান সময়ে বাংলাদেশেও সমভাবে ভূমিকা রেখে চলেছে। নারীরা আজ শুধু সংসারের কাজ নয় তারা আজ ঘরে বসেই অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে উন্মোচন করেছেন আয়ের পথ এবং স্বামী-সন্তানের পাশাপাশি নিজেরাও অর্থনৈতিক মুক্তিতে কাজ করছেন যা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। তবে উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের জন্যে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা এবং উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে আরো আরো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া যায় সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর নাসিমা আক্তার নিসার হাত ধরে অনলাইন পেজ উই এই যাত্রা শুরু হয় যেখানে বর্তমান বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৪ লক্ষ সদস্য সদস্য যুক্ত আছেন। যাদের মাঝে বগুড়ার উদ্যোক্তা রয়েছেন প্রায় ৩ শতাধিক। 

পুলিশ প্লাজায় এমন মেলায় আয়োজন প্রসঙ্গে কয়েকজন উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, তারা মূলত একপ্রকার শূণ্য পকেটে যাত্রা শুরু করে অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসাকে এগিয়ে নিচ্ছেন সে যাত্রায় এমন মেলা সর্বদাই ইতিবাচক ভূমিকা রাখে প্রচার এবং নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে। 

মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্টলে শোভা পেয়েছে, হাতের কারুকাজ করা পাঞ্জাবি, মেয়েদের থ্রিপিস, জামা, নকশি কাঁথা, বালিশের কুশন-কভার, অর্গানিক নানা ধরনের তেল ও প্রয়োজনীয় পণ্য, কাজ করা জুয়েলারি থেকে শুরু করে নানা দাম ও মানের সাজসজ্জার সামগ্রি এবং নানা স্বাদের খাবার যেখানে দেখতে পাওয়া যায় সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা পদের খাবারও যা নজর কাড়বে যে কারো। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মেলাটি আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।

মন্তব্য ( ১)





image
  • company_logo