• শিক্ষা
  • লিড নিউজ

ইবিতে ৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, প্রতিবাদে প্রধান ফটক অবরোধ

  • শিক্ষা
  • লিড নিউজ
  • ০৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:২৮:০৪

ছবিঃ সিএনআই

কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এদিকে বহিষ্কারাদেশের ফলে ক্ষীপ্ত হয়ে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে অবরোধ করে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা। ফলে আটকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়িসমূহ। 

এসময় বহিষ্কারাদেশ সম্পূর্ণ অন্যায্য বলে দাবি করেন এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত মানা হবেনা বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এছাড়া বিভিন্ন ফেস্টন ও প্লেকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকে তারা। 'আমার ভাই বহিষ্কার কেন প্রশাসন জবাব চাই', 'ভুয়া প্রশাসন ভুয়া বহিষ্কার, মানি না মানবো না', ইবির আবিষ্কার, কিছু হলেই বহিষ্কার'সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম এবং ৩টি শর্ত দেয় শিক্ষার্থীরা। শর্ত ৩টি হলো: বিচার কাজে নিয়োজিত তদন্ত কমিটি পরিবর্তন করে নতুন তদন্ত কমিটি আনতে হবে, প্রক্টর স্যার অফিসিয়ালি বক্তব্য দিবেন যে তিনি পূর্বে যা বলেছেন তা আনঅফিসিয়াল কথা ছিল আর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল চূড়ান্ত নয় এবং যে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে এ শাস্তির( স্থায়ী বহিষ্কার) আওতায় যেন না আনা হয়।

প্রায় ২ ঘন্টা প্রধান ফটক অবরোধ করে রাখার পর ৩ শর্ত দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, তারা ভুল বুঝেছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। আজকের সভায় তদন্ত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা ও সুপারিশ করা হয়েছে। এর আলোকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য চিঠি দেওয়া হবে। এছাড়া তাদেরকে স্ব শরীরে ডাকাও হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য ও তার দুই সহযোগী আতিক আরমান ও সালমান আজিজ গত ১০ জুলাই মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সাময়িক বহিষ্কার করে এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর তদন্ত কমিটি ভাঙচুরের ঘটনায় কাব্যের সংশ্লিষ্টতা পেলেও বাকি দুইজনের সংশ্লিষ্টতা পায়নি।

এর আগে, গত ০৯সেপ্টেম্বর, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এরপর বিবিএ অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo