সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ধর্ষিতার আত্মহত্যার হুমকি

ছবিঃ সিএনআই

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব ও সিরাজগঞ্জ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সভাপতি হেলাল আহম্মেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা সেই নারী এবার বিয়ে না করলে আত্মহত্যার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, দুই ঘণ্টার মধ্যে মিমাংশা বৈঠক বসার কথা। সেখানে হেলাল আহম্মেদ যদি আমাকে বিয়ে না করে তবে সুইসাইড করবো। তিনি বলেন, আমাকে মিমাংসার জন্য পঞ্চায়েত কমিটিসহ পারিবারিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, হেলাল আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ আনা ওই নারীকে সোমবার রাতে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ হেলাল আহম্মেদ, তার স্ত্রী ও স্বজনদের বিরুদ্ধে। ছিনতাইয়েরও অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী বর্তমানে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় শহরজুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে নানা তথ্য-উপাত্ত। অভিযুক্ত হেলাল আহমেদ করতোয়ার বহিস্কৃত সাংবাদিক ও সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি। নির্যাতিত নারী পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বছর খানেক আগে একটি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় সাংবাদিক হেলাল আহমেদের শহরের বড়পুল সংলগ্ন অফিসে পর পর কয়েকদিন যান তিনি।

এই সুযোগে হেলাল আহম্মেদ তাকে চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে অফিসের ভিতরের বেড রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারন করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে দীর্ঘদিন যাবত ধর্ষণ করে আসছিলেন হেলাল আহমেদ। পাশাপাশি ওই নারীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরিও করেছেন তিনি। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হেলাল আহমেদ ওই নারীকে শহরের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত তাঁর মেয়ের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান।

সেখানে যাবার পর ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করে তার ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। ওই মোবাইলে উভয়ের মধ্যে চলা অনৈতিক সর্ম্পকের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও ভিডিও ধারন করা ছিল। ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। সেখান থেকে তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, মারধরে আহত ওই নারী থানায় আসার পর তার কাছ থেকে ঘটনার বর্ননা শুনে চিকিৎসার জন্য তাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেনেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে মেডিক্যাল করানো হয়েছে।

ওই নারী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে হেলাল আহমেদ বলেন, সাজানো ঘটনায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই নারীকে আমি কিছু করিনি, আমার বউ তাকে একটু মারধর করেছে। বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা চলছে।