• সমগ্র বাংলা

ফরিদপুরে জীবিত গৃহবধূ ফিরলেন দাফনের ৫ দিন পরে

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:১৬:০৬

ছবিঃ সিএনআই

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুরে নিখোঁজের ১৫ দিন পর লাশ উদ্ধার এবং লাশ দাফনের ৫ দিন পর হাসি বেগম(২৪) নামের এক নারীকে জীবন্ত উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই)মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে  আটক করে সদরপুর থানায় নিয়ে আসেন। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম নিখোঁজ হন। গত ২০ সেপ্টেম্বর তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে শৌলডুবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

জানা যায়, হাসি বেগম উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে  চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রয়েছে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায় , গত ৮ বছর পূর্বে একই উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মৃত শাহ আলম শেখের ছেলে মোতালেব শেখের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় হাসি বেগমের। তাদের হুসাইন নামক ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার শশুর বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে সদরপুর আসার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয় হাসি বেগম। 

এ ঘটনায় হাসির বাবা শেখ হাবিবুর রহমান গত ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে জামাতা মোতালেব শেখ (৪৫)।পরবর্তীতে দুই দিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর হাসির স্বামী মোতালেব শেখ সদরপুর থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযোগে উল্লেখ করেন তার স্ত্রী হাসি বেগম নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে গেছে।

এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার নাউটানা এলাকায় কচুরিপানার ভেতর থেকে একটি অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে নিখোঁজ হাসি বেগমের মা সালমা বেগম লাশের কোমরে একটি তাবিজ ও পায়ের একটি আঙুল ছোট থাকায় নিখোঁজ হাসি বেগমের লাশ হিসেবে শনাক্ত করলে ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

অপরদিকে, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলা অবস্থায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানায় সে জীবিত আছে। পরবর্তীতে সোমবার সদরপুর থানা পুলিশ হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে জীবিত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ গফফার শিকদার জানান,এর আগে জানতে পারি নিখোঁজের পর হাসি বেগমের লাশ পাওয়া গেছে এবং পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজন হাসির লাশও দাফন করে। হঠাৎ আবার জানতে পারলাম হাসি বেগম মারা যায়নি।

ফরিদপুরের সদরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মামুন আল রশিদ জানান, হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি থানায় আছেন। ঘটনাটি ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার জড়িয়ে। এখনই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব নয়। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো যাবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo