• শিক্ষা

মোমবাতি নিয়ে পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থী

  • শিক্ষা
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:২২:০০

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ নেয়া হয় সেন্টার ফি, নেয়া হয় ফরম পুরনের ফি, সাথে প্রবেশ পত্র দেয়ার নামেও শিক্ষার্থীদের কাছে নেয়া হয় অর্থ। সকল ফি সাথে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এরপরেও মোমবাতী হাতে পরীক্ষার হলে যেতে হয় পরীক্ষার্থীদের। এরপরেও নেই উপযুক্ত পরিবেশ। দিনের পর দিন চিলমারীর শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  (ফেসবুকে) তীব্র প্রতিবাদের ঝড়।

জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতেও ডিগ্রী ও এইসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার আগে ফরম পুরনে অতিরিক্ত টাকা এরপর প্রবেশ পত্রের মূল্য নেয়া হয় ৩ থেকে ৫শত টাকা। নানা অযুহাতে শিক্ষার্থীদের করা হয় হয়রানী সাথে আদায় করা হয় অতিরিক্ত টাকাও। সকল কিছু মেনে নিয়ে পরীক্ষার হলে এসেও পড়ছে বিপাকে। বিপাকে পড়েছে চিলমারী সরকারী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরাও।

পরীক্ষার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আসলেও কেন্দ্রের পরিবেশ আর রুমের পরিবেশ ফেলিয়েছে তাদের বিপাকে। রবিবার ছিল ডিগ্রী ও এইসএসসি পরীক্ষা, সকল প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা পরীক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কেন্দ্রের আর রুমের অবস্থা বড়ই নাজুক, পরিবেশ স্যাত স্যাতে, নেই আলোর ব্যবস্থা, চারদিকে দুর্গন্ধ।

তারা আরো জানান, পরীক্ষার হলের অবস্থা খুব খারাপ, নোংড়া পরিবশে এবং আলোর ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে মোমবাতী জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। নাম না জানা শর্তে ১০৩ নং রুমের পরীক্ষার্থী বলেন, এতো খারাপ পরিবেশে সাথে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, আজ এই ডিজিটাল যুগে এভাবে কেউ পরীক্ষা দেয়।

তারা আরো জানান, ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেও পরিবেশ আর অন্ধকারের কারনে সবকিছু এলামেলো হয়ে যায়। চিলমারী সরকারী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার মান ও পরিবেশ ভেস্তে যাচ্ছে জানিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম মিজান, দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একটি কলেজ এবং একটি কেন্দ্রের এই দুর্ব্যবস্থা হলে আমাদের এলাকার শিক্ষার মান কি ভাবে বাড়বে।

এছাড়াও চিলমারী সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন ভাবে এবং ফরম পুরন, প্রবেশপত্রের নামে নেয়া হয় অতিরিক্ত টাকাও। অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষার জন্য সকল ফি দেয়া হলেও কেন উপযুক্ত পরিবেশ করা হয় না। এব্যাপারে কলেজের ভারঃ অধ্যক্ষ মোঃ কবিরুল ইসলাম এর সাথে যোগাাযোগ করা হলে তিনি জানান, কারেন্ট না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo