
ছবিঃ সিএনআই
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের পর থেকে স্বপ্ন আর কল্পনার মতো ছিল ভেড়ামারা ব্রীজ। কেননা স্বাধীনতার পূর্বে ও স্বাধীনতার পর থেকেই ভেড়ামারা নামক স্থানে ছিল না কোন ব্রীজ। ঘাঘট নদীর উপরে অবস্থিত ভেড়ামারা রেলওয়ে জংশন এর কোল ঘেঁষে কাঠের সাঁকো ব্যবহার করে চলাচল করতে হতো প্রায় কয়েক শত গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণকে।এই এলাকায় জনসাধারণের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে গাইবান্ধা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি সার্বিক সহযোগিতায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে এলজিইডির অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান Starlite Services Ltd & Udayan Buider JV মাধ্যমে প্রায় ৬, ৪৫,১২,৭৩৮.১১৮ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয় ৮১ মি. ব্রীজটি।বর্তমানে এই ব্রীজের কাজ ৯৫ ভাগ শেষ। এখন শুধু জনসাধারণে চলাচলের জন্য উন্মুক্তের অপেক্ষা।এই ব্রীজটি নির্মাণের ফলে এই অঞ্চলের মানুষেরা দ্রুত জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে।
ব্রীজ সংলগ্ন কসমেটিক দোকানদার মো লিমন মিয়া বলেন,আমি কসমেটিক দোকান করি।আমার দোকানের মালামাল কেনা জন্য শহরে যেতে হলে কদমের তল হয়ে ঘুরিয়ে যেতে হতো।কিন্তু ব্রীজটি নির্মাণ হবার ফলে এখন অল্প সময়ের শহরের গিয়ে দোকানের মালামাল কিনে আনতে পারব।
৭৫ নং রেলগেট এলাকার বাসিন্দার মো জয়নাল হক বলেন,আমি শহরে রিকশা চালাই।আমাকে খুব সকালেই রিকশা নিয়ে শহরে যেতে হয়।আগে অনেকটা ঘুরিয়ে শহরে যেতে হতো কিন্তু এখন ভেড়ামারা ব্রীজ হবার ফলে অল্প সময়ে শহরে যাতায়াত করতে পারব।
চায়ের দোকান্দার ভুট্টা মিয়া বলেন, আমাদের জন্মের পর থেকেই কাঠের সাঁকো ব্যবহার করে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেছি।এমনকি এখানে ব্রীজ হওয়ার স্বপ্নের মতো ছিল।কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্ন সরকার পূরণ করে দিছে।
গাইবান্ধা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো সাবিউল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের মতো ছিল এখানে ব্রীজ হওয়া। আমরা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন এই ব্রীজ হবার ফলে খোলাহাটী, কুপতলা, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন সহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মানুষ ও সহজে শহরে যেতে পারবে।
নিউজ ডেস্কঃ বিভিন্ন অস্থিরতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমা...
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এবং বীরগঞ্জে পৃথক ...
কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি...
কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ বর্ষা মৌসুম শেষে পর্যটকদের...
মন্তব্য ( ০)