• সমগ্র বাংলা

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে ঈশ্বরগঞ্জে আলোচনা সভা

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:০৫:২৫

ছবিঃ সিএনআই

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: 'পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সামজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিনের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। 

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার হাকিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান আকন্দ হলুদ, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মায়া রানী সরকার, প্রধান শিক্ষক বাবুল কৈরী, সহকারী শিক্ষক নাহিদা আক্তার, মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ। 

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যে সংবিধান প্রণীত হয় তার ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। ১৯৭৩ ঠাকুরগাঁওয়ে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় ঠাকুরগাঁয়ে। এ দিনে ঠাকুরগাঁ-এর কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬.০৮ শতাংশ। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য, নাগরিকদের সাক্ষর হওয়া প্রয়োজন। সাক্ষরতা অগ্রগতি এবং উন্নয়নের একটি কারণ। পড়তে এবং লিখতে সক্ষম ব্যক্তিকে সাক্ষর বলা হয়। যাঁর 'ক, খ, গ' জ্ঞান আছে, ভাষার প্রতি সম্মান আছে এবং যিনি সঠিক ও বেঠিকের পার্থক্য বোঝেন, তিনিই সাক্ষর। সাক্ষরতার গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এবং শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo