• সমগ্র বাংলা

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ

  • সমগ্র বাংলা
  • ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ১২:৫৮:৩১

ছবিঃ সংগৃহীত

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে (বিসিএমসিএল)  কারিগরি কারনে আজ বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কয়লা উত্তোলন। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথমার্ধে নতুন ফেইস থেকে প্রায় সোয়া ২ লাখ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, ১১১৩ নম্বর ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়েছিল ২৫ এপ্রিল থেকে। মজুদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আজ ৩০ আগস্ট বুধবার পর্যন্ত ওই ফেইস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে৷  কয়লা উত্তোলন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে পাশেই ১৪১২ নম্বর নামে আরেকটি নতুন ফেইসে যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

একারনে মাস দেড়েক সময় পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খনি কর্তৃপক্ষ। কয়লা খনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খান মোঃ জাফর সাদিক জানান, ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজসহ যথাযথ মেইন্টেন্যান্স শেষে (নতুন  ১৪১২ নম্বর ফেইস)  অক্টোবরের মধ্যে (নতুন) ওই ফেইস থেকে প্রায় সোয়া ২লাখ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের আশা করছেন তারা। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, চলমান ফেইসের কয়লার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন ফেইস তৈরি করতে সাময়িক সময়ের জন্য কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ।

তবে খনির কয়লার উপর নির্ভরশীল পাশ্ববর্তী বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহের জন্য কয়লা খনির (বিসিএমসিএল এর) ইয়ার্ডে বর্তমানে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুদ সংরক্ষন রয়েছে। ওই মজুদ কয়লায় মাস দুয়েক বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল থাকতে পারবে কেন্দ্রটিকে।এদিকে কয়লা ভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক জানান,  কেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি মাত্র ( ৩ নম্বর) ইউনিট থেকে গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ দিচ্ছেন তারা।

ইউনিটটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে  প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিক টন করে কয়লার প্রয়োজন রয়েছে। খনির ইয়ার্ডে মজুদ (১লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন) কয়লায় প্রায় দুই মাস সময় পর্যন্ত ৩য় ইউনিটটি সচল রাখতে পারবেন তারা। অন্যদিকে ১২৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন অন্য ২টি ইউনিটের মধ্যে ২ নম্বর ইউনিটটি ওভার হোলিং ( সার্ভিসিং) এর কারনে এবং পর্যাপ্ত কয়লা সরবরাহ না পাওয়ায় অপর (১ নম্বর) ইউনিটটি বন্ধ পড়ে রয়েছে ২০১৯ সাল থেকে।

তিনি আরো জানান,  রংপুর বিভাগে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট করে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হলে চাহিদার ৫০ শতাংশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করতে পারবেন তারা।  এতে ৩টি  ইউনিটের জন্য প্রতিদিন সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন করে কয়লার প্রয়োজন হবে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo