• সমগ্র বাংলা

গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিচারে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ সমাবেশ

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৫ আগস্ট, ২০২৩ ১৩:১৯:২৮

ছবিঃ সিএনআই

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ  এদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের ৬ বছর পূর্তী উপলক্ষে উখিয়া টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করছে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা। তারা বলছেন ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাত রাখাইন রাজ্যে সেই ভয়াবহ সহিংস ঘটনায় গণহত্যা দিবস পালন করেছে।  এছাড়া নিজ দেশের পূর্ণ নাগরিত্ব, তাদের আদি বাসভূমিতে নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ ৫ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে তাঁরা। 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বেলা পৌনে ১২ টা পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১২টি আশ্রয় শিবিরে পৃথকভাবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 'জেনোসাইড সারভাইভরস রোহিঙ্গা'র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে তাদের ব্যাকুলতার কথা তুলে ধরেন। একই সাথে গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিচার দাবি করেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। এছাড়াও প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রতি আহবান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

এসময় রোহিঙ্গারা বারবার উচ্চস্বরে শ্লোগান ধরেন, 'উই ওয়ান্ট টু গো ব্যাক মিয়ানমার'।  উখিয়ার লম্বাশিয়া, জামতলী, ময়নারঘোনা ও টেকনাফের লেদায় বৃহৎ পরিসরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাকি ক্যাম্পগুলোতে সমাবেশ হয় ছোট পরিসরে।

কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. উরিদুল আলম বলেন, 'কিছু আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের অভ্যান্তরিন সমস্যা নিয়ে অযৈক্তিক মাথা ঘামালোও

এই প্রত্যাবাসন নিয়ে তাঁরা উদাসিন ও নিরব। এছাড়া আহসান সুমনসহ উখিয়া - টেকনাফ এর স্হানীয়রা জানান, বিশেষ করে কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে ব্যবসায় নেমেছে।তাঁরা চলে গেলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাঁর জন্য রোহিঙ্গাদের নানা উস্কানি দিয়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে'।   

উল্লেখ্য যে,২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে  নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার প্রেক্ষিতে সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এতে দমন নিপীড়নের মুখে, প্রাণের ভয়ে ২৫ আগস্ট সীমান্ত অতিক্রম করে বানের স্রোতের মতো দলে দলে প্রবেশ করেছিল রোহিঙ্গারা। পরে মানবিক কারণে সরকার উখিয়া-টেশনাফের ৩৪ ক্যাম্পে আশ্রয় দেয় তাদের।

পরে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিভিন্ন সংস্থা তাদের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা  বাসস্থান সহ নিরাপত্তা  নিশ্চিত করে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বসম্মানে স্বদেশে ফেরৎ পাঠাতে কুটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলোও এখনও পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও ফেরত নেইনি মিয়ানমার। এতে রোহিঙ্গারা পুরো জেলায় যেমন,  ছড়িয়েছিটিয়ে পড়েছে তেমনি, মাদকপাচার, গুম-খুন ও অপহরণে লিপ্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলার বারেটা বাজিয়েছে।  

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo