• সমগ্র বাংলা

ঠাকুরগাঁওয়ে পরিত্যক্ত ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:৪২:১২

ছবিঃ সিএনআই

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ সদর উপজেলার বড় খোঁচাবাড়ী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত বৃদ্ধার পরিচয় মিলেছে। সোমবার ওই বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের কাছে তাকে হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান। 

ওই বৃদ্ধার নাম মোছা: হাফিজা বেগম (৫৫)। তিনি নাটোর জেলার সদর থানার গোকুলনগর গ্রামের মো: শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। ওই দিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে তাকে তার স্বামী ও সন্তান মো: শামিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তাকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে বিনা খরচে নাটোরে পাঠানো হয় এবং চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। তাকে গ্রহনের সময় কান্নায় আবেগ আপ্লুত হয়ে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসককে মানবিক উল্লেখ করে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। হস্তান্তরেরকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, সিভিল সার্জন ডা: নুর নেওয়াজ আহামেদ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুল ইসলাম, হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার সালেহা খাতুনসহ হাফিজা বেগমের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। 

জানা যায়, গত ২০ জুন ঠাকুরাঁও সদর উপজেলার বড় খোচাবাড়ী এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে ওই বৃদ্ধার সন্ধান পায় স্থানীয়রা। তার শরীরে দুর্গন্ধ থাকায় স্থানীয়রা কেউ তার কাছে যেতে পারেনি। তিনি প্রায় ১৫ দিন সেখানে অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান। তিনি তাৎক্ষনিক ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা শুরু করার ব্যবস্থা করেন। এ সময় তিনি কোন নাম পরিচয় বলতে পারেননি। অবশেষে বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর তিনি মুটামুটি সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। 

জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর উনাকে উদ্ধার করে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। যেহেতু তিনি নাম পরিচয় বলতে পারছিলেন না, সেক্ষেত্রে আমরা নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার নাম, পরিচয় বের করি। পরে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে উনারা আজকে এসে প্রয়োনজীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেন। এতে আমরা অনেক খুশি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo