• অর্থনীতি

আবারও ঋণ পরিশোধে ছাড় দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • অর্থনীতি
  • ২১ জুন, ২০২৩ ১৪:৩৮:২০

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ব্যাংকঋণ পরিশোধে আবার ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জুনের মধ্যে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রা‌ন্তিকের (এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত) মেয়াদি ঋণের কিস্তির অর্ধেক পরিশোধ করলে খেলাপি হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী জুন মাসের মধ্যে ঋণের কিস্তির অর্ধেক টাকা জমা দিলেই একজন গ্রাহককে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। তবে এই সুবিধা শুধু মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে মিলবে। অবশ্য ব্যাংক খাতের ১৫ লাখ কোটি টাকা ঋণের প্রায় অর্ধেকেই মেয়াদি ঋণ।

তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ বিভিন্ন উপকরণের মূল্য ও আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ফলে ঋণগ্রহীতারা তাদের ঋণের বিপরীতে প্রদেয় কিস্তির সম্পূর্ণ অংশ পরিশোধে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে উৎপাদন ও সেবা খাতসহ সব ধরনের ব্যবসা চলমান রাখা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বজায় রাখতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ এপ্রিল বিদ্যমান অশ্রেণিকৃত (খেলাপি নয় এমন) মেয়াদি ঋণের (স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণসহ) বিপরীতে ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ জুনের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে উক্ত ঋণগুলো ত্রৈমাসিকে ভিত্তিতে খেলাপি করা যাবে না।

এ সময়ে কিস্তির যেসব টাকা বকেয়া থাকবে, তা ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সমকিস্তিতে অথবা এক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। নির্দেশনা মোতাবেক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণগুলো যথানিয়মে শ্রেণিকরণের আওতাভুক্ত হবে। এই সুবিধায় ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কোনোরূপ দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছর কোনো কিস্তি না দিলেও কেউ খেলাপি হয়নি। ২০২১ সালে যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা ১৫ শতাংশ দিলে নিয়মিত ছিল। এরপর রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গতবছরের শেষ প্রান্তিকে একজনের যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা ৫০ শতাংশ দিলে খেলাপি হয়নি।

এমন ছাড়ের সুযোগ নিয়ে আদায় না করেও অনেক ব্যাংক খেলাপি কম দেখেয়েছিল। তবে ছাড় উঠে যাওয়ার পরই জানুয়ারি-মার্চ সময়ে খেলাপি ঋণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বেড়ে হয় এক লাখ ৩১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo